ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তির শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিক প্রতিবেদন আইন অনুযায়ী, যেসব কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত, সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তি কিংবা ঋণ নবায়ন করতে চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট দ্বারা নিরীক্ষিত হিসাব বা আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শিথিলতা থাকবে। তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আবার আগের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদন বা নিরীক্ষিত হিসাব দাখিল করতে হবে এবং ব্যাংকগুলোকে তা ঋণ ফাইলে সংরক্ষণ করতে হবে।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার ইস্যু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন এন্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি)। এতে বলা হয়, কোভিডের নেতিবাচক প্রভাব এবং ঋণ প্রবাহ বাড়িয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে গেল ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত নির্দেশনার কথা তুলে ধরা হয়। ওই সময় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই ঋণ প্রাপ্তি এবং নবায়নের ক্ষেত্রে চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট দ্বারা নিরীক্ষিত হিসাব কিংবা হালনাগাদ আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করার বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছিল।
ওই নির্দেশনায় জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবারে ছোটদের সুবিধা দিতে নতুন নির্দেশনা দেয়া হলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, কোভিডে অভিঘাত মোকাবেলায় ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হিসেবে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত। এই খাতের জন্য গেল বছরের এপ্রিলে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রণোদনার পুরোটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।
প্রণোদনার ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বিবেচিত হবে। এছাড়া সম্প্রতি সিএমএসএমই খাতের জন্য আরো ২ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করা হয়েছে। এশীয় পরিকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) সহায়তায় এই তহবিল চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।