ঋণ শ্রেণিকরণের সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা পর্যালোচনা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ শ্রেণিকরণের বিদ্যমান তিন মাসের সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদের এক দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সভায় গভর্নর মনসুর আরও বলেন, বিদেশি ব্যবসায়িক অফিস খোলার প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে।
চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে বলে আশা পুনর্ব্যক্ত করেন গভর্নর। "যদি তখন মুদ্রাস্ফীতি মোটামুটি ৭ শতাংশে পৌঁছায়, ব্যাংকের বাজারভিত্তিক সুদহার আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে," তিনি বলেন।
গভর্নর আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এগুলোর ইতিবাচক প্রভাব শিগগিরই বাজারে দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রমজান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলোকে কোনও মার্জিন ছাড়াই এলসি খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে বাজারে ডলারের কোনো সংকট নেই এবং এর মূল্যও স্থিতিশীল। তবে ডলারের মূল্য সরবরাহ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি নির্ধারণ করবে না।"
"তবে আমরা ডলারের দামের স্থিতিশীলতার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি এবং বাজারে নজরদারি অব্যাহত থাকবে," তিনি যোগ করেন।
ব্যবসায়ীদের প্রতি সর্বোচ্চ কমপ্লায়েন্স বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্মতির [কমপ্লায়েন্স] বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে।
এদিকে, ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, "সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমাদের অর্থনীতি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর মধ্যে ভ্যাট ও কর বৃদ্ধির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।"
তিনি বলেন, ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার ব্যবসায়িক ব্যয় বাড়িয়ে তুলছে।
তাসকীন আহমেদ গভর্নরের প্রতি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকের সুদহার কিছুটা কমানোর আহ্বান জানান, যাতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, "ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পেতে একজন সিএমএসএমই উদ্যোক্তার ৩১টি নথিপত্র জমা দিতে হয়। এ কারণে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা অনেক সময় ঋণ পাওয়ার সুযোগ হারান বা আশা ছেড়ে দেন।"