জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: বোঝা চাপল ভোক্তাদের ওপর
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি তার সর্বব্যাপী প্রভাব নিয়ে অসহনীয় বোঝা হয়ে উঠতে চলেছে ভোক্তাদের জন্য। কৃষির সেচ খরচ থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সবকিছুতেই দেখা দেবে ঊর্ধ্বগতি, শেষ পর্যন্ত যার চাপ পড়বে ভোক্তাদের ওপরই।
নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিতে মানুষের পকেটে টান পড়েই আছে, তার ওপরই যোগ হলো কেরোসিন ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি।
লকডাউনে ব্যাপক লোকসানের শিকার পাবলিক বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন মালিকরা দর বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথে ন্যায্যভাবে ভাড়া পুনঃনির্ধারণের দাবিতে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
লঞ্চ মালিকরাও আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
শুধু দেশে নয়, জ্বালানির দর বৃদ্ধি এই মুহূর্তে এক বৈশ্বিক সমস্যা। মহামারির ক্রমাগত অভিঘাত থেকে পুনরুদ্ধারকালে ভারত - ইতালি; অধিকাংশ দেশ নিচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর এই বোঝা হালকা করার নানাবিধ পদক্ষেপ।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) পেট্রোল ও ডিজেলে আরোপিত কর কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারত, যার ফলে ভোক্তাপর্যায়ে লিটারপ্রতি মূল্য ২০ টাকা পর্যন্ত কমবে। কিন্তু, একইদিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি সংস্থা ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এজন্য বিশ্ববাজারে অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিকেই প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসাধারণের জীবনযাত্রায় চাপ কমানো ও পুনরুদ্ধারের পথে থাকা অর্থনীতিকে সমর্থন দিতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারও একই রকম জ্বালানিতে কর কর্তনের পদক্ষেপ নিতে পারতো।
তারা আরও বলেছেন, আকস্মিকভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মহামারিজনিত ক্ষতি থেকে ব্যবসার পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত করবে।
অথচ বর্তমানে সরকার জ্বালানি বিক্রয় থেকে ভ্যাট (মূসক), শুল্ক এবং বাণিজ্য করসহ চার ধরনের রাজস্ব সংগ্রহ করে, যা সম্মিলিতভাবে প্রায় ৩০ শতাংশ।
বিপিসির সূত্রগুলি জানায়, জ্বালানি বিক্রি থেকে সরকারের বার্ষিক রাজস্ব আয়ের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।
দেশে জ্বালানি তেল ব্যবহারের প্রায় ৭৮ শতাংশই ডিজেল। ২০২০-২১ অর্থবছরে ডিজেলের ব্যবহার ছিল ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার টন। এ সময় দেশে মোট জ্বালানি তেল ব্যবহার ছিল ৬৩ লাখ টন।
দেশের ৯৯ শতাংশ সেচ পাম্প ও ৭৫ শতাংশ বাস, ট্রাক, লঞ্চ ও ট্রেন ডিজেলচালিত হওয়ায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রচণ্ড আঘাত আসবে পরিবহন ও কৃষি খাতে।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেন, "বিপিসির লোকসান কমাতে সরকার দাম না বাড়িয়ে, তেলের ওপর বিদ্যমান কর কর্তনের পদক্ষেপ নিতে পারতো।"
কিন্তু তার পরিবর্তে তেলের দাম বাড়ানোয় বাস ভাড়া ও নিত্যপণ্যের মূল্য চড়বে, দিনশেষে যা সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাসের কারণ হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, জ্বালানির মূল্য নিয়ে দেশের বর্তমান নীতি সঠিক নয়। গত সাত থেকে আট বছর ধরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ধারাবাহিক দরপতনের মুখ দেখেছে, কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে সে কারণে দাম কমানো হয়নি। তাই বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বলে দেশে মূল্যবৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া যুক্তিসঙ্গত নয়।
ড. জাহিদ বলেন, "বিশ্ববাজারের সাথে সমন্বয়ে মূল্যবৃদ্ধি তখনই গ্রহণযোগ্য হতো, যদি দাম কম থাকার সময় দেশেও মূল্য কমানো হতো।"
সীমিত আয়ের মানুষের ওপর এর চূড়ান্ত প্রভাব সম্পর্কে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দরবৃদ্ধি কোনো বিবেচক সিদ্ধান্ত হয়নি, কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে দীর্ঘদিন চড়া মূল্য থাকতে পারে।
এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপাতত এক রকমের ভর্তুকি দিয়ে সরকার পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করতে পারতো। তখন সবাই যুক্তিসঙ্গত দরবৃদ্ধি মেনে নিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, "মহামারি জনিত লোকসান থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বড় আঘাত হলো জ্বালানির আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধি।"
সরকার চাইলে ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানির দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতো। অন্তত ছয় মাস মূল্য স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতিও এ সময়ে মহামারির অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারতো বলে মনে করেন তিনি।
রিজওয়ান বলেন, কিন্তু, ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা না করেই এই মূল্যবৃদ্ধি; প্রস্তুতকারক ও ভোক্তা উভয়ের জন্যই আরও দুঃসময়ের সূচনা করলো।
ন্যায্য ভাড়া পুনঃনির্ধারণ দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট:
ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন মালিকরা।
বাংলাদেশ ট্রাক-কার্ভাড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. তফাজ্জল হোসেন মজুমদার বৃহস্পতিবার তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে নিশ্চিত করেন।
ট্রাক-কার্ভাড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ তফাজ্জল হোসেন বলেন, "পরিবহন মালিকরা ইতোমধ্যেই অনেক চাপের মধ্যে আছে। এখন ডিজেলের দাম বাড়ায় আমাদের পক্ষে যানবাহন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই পদক্ষেপ (জ্বালানির দাম বৃদ্ধি) পুরোপুরি অযৌক্তিক।"
সরকার এ দাম বাড়ানোর ব্যাপারে পরিবহন নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বলেও অভিযোগ করেন তফাজ্জল হোসেন।
তাই পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, ট্যাঙ্ক লরি, প্রাইম মুভার্স ওনার্স অ্যান্ড ওয়ার্কাস কাউন্সিল গতকাল বৃহস্পতিবার এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তারপুর ব্রিজের টোল বাড়ানোর পর সরকার এবার জ্বালানি তেলেরও দাম বাড়াল, যা কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত পরিবহন খাতের দুর্দশায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, "আমরা লোকসান দিয়ে বাস চালাব না।"
এর আগে এ দিন এই সমিতি দূরপাল্লার বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর একান্ত সচিবকে একটি চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত আট বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটসহ দেশের দূরপাল্লার বাসগুলোর ভাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে এ সময়ে সব ধরনের খুচরা যন্ত্রাংশ ও জ্বালানির দাম বেড়েছে। তাছাড়া, কোভিড-১৯ মহামারিকালে পরিবহন মালিকরা বিপুল লোকসানের শিকার হয়েছেন। এরপর সরকারিভাবে জ্বালানি মূল্য বাড়ানোর ফলে এ খাতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে।
সমিতির দাবি, তারা একাধিকবার মন্ত্রণালয়ের কাছে ভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ করলেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক ও মুখমাত্র মোঃ মাহবুব-ই-রব্বানী জানান, বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতি ও সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি আগামী রোববারের বৈঠকে ভাড়া পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তবে আজ শুক্রবারের (৫ নভেম্বর) বৈঠকেই জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাবেন লঞ্চ মালিকেরা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ (যাত্রীবাহী) নৌপথ সমিতির দাপ্তরিক সচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি বলেন, "কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আগামীকাল আবার আমাদের নেতারা বৈঠক করবেন এবং সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
এদিকে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যেই প্রভাব পড়েছে খাদ্যপণ্য, বাস ভাড়ায়:
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজারে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে ১৬-৫৫ শতাংশ।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা শরীফ আহমেদ টিবিএসকে বলেন, করলা, আলু, ফুলকপির মতো সবজির দাম একদিনেই ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে।
ঢাকার পাইকারি একটি চালের বাজারের বিক্রেতা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় তাদের চালের দাম এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত বাড়াতে হচ্ছে। কারণ তাদের পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে অনেক পাবলিক বাস অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
মুরগি, গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং মাছের দাম এখনও পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে, যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
যেভাবে সাধারণ জনতার ওপর পড়া প্রভাব সামাল দেয় অন্যান্য দেশ:
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী একটি উদ্বেগের বিষয়। এ কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পুষিয়ে দিতে শুল্ক কমানোর মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করে অনেক দেশের সরকার।
করোনাভাইরাসের একাধিক ঢেউয়ে নাকাল প্রতিবেশী দেশ ভারতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে ও দেশটির নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর মহামারির অভিঘাতের প্রভাব কমাতে পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর কর কমিয়ে দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
বাংলাদেশ প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর ঠিক একদিন আগে, ভারত জ্বালানি তেলে আবগারি শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে। যার ফলে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানির দাম ১৪-২০ টাকা (১২ রুপি থেকে ১৭ রুপি) কমেছে।
বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ডিজেলে প্রতি লিটারে ১০ রুপি এবং পেট্রোলে প্রতি লিটার ৫ রুপি করে আবগারি শুল্ক কমিয়েছে। এ পদক্ষেপকে তারা 'দীপাবলির উপহার' হিসেবে অভিহিত করেছে। এর পরপর রাজ্য সরকারগুলি ভ্যাট কমিয়ে দিয়েছে।
ভারত সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, এই পদক্ষেপের ফলে দেশটির সরকারের ৫৫০ বিলিয়ন রুপির রাজস্ব ক্ষতি হবে।
স্থানীয় মুদ্রার মূল্যের তীব্র পতনের কারণে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অয়েল কর্পোরেশন কর্তৃক জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। তবে দেশটির একটি বেসরকারি তেল কোম্পানি গত মাসে দাম বাড়িয়েছিল।
ক্রমবর্ধমান জ্বালানি মূল্য ইউরোপের জীবনকেও প্রভাবিত করছে। ইউরোপীয় কমিশন গত মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর এর প্রভাব কমিয়ে আনতে এনার্জি ট্যাক্স কমানো এবং রাষ্ট্রীয় সহায়তার মতো ব্যবস্থা চালু করেছে।
স্পেন, ইতালি এবং পর্তুগাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কর বাতিল করেছে। তেল ও গ্যাসের দাম বাড়তে থাকায়, এর প্রভাব মোকাবিলায় জ্বালানি শুল্ক এবং বিক্রয় কর কমিয়েছে এ দেশগুলো।
জ্বালানির দামের তীব্র বৃদ্ধির কারণে ইউরোপের কিছু দেশে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ইউরোপীয় কমিশন তার সদস্য দেশগুলোকে স্বল্প আয়ের মানুষকে সাহায্য করার জন্য ভাউচার, বিল পেমেন্ট ডিফারেল বা আংশিক বিল পেমেন্টের মাধ্যমে আয় সহায়তা দিতে বলেছে।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও অ-খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতির একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুদ্রাস্ফীতির চাপ আরও বাড়তে পারে। কারণ এই মূল্যবৃদ্ধি যাত্রীদের ভ্রমণ খরচ এবং পণ্য পরিবহন খরচ বাড়াবে। সড়ক ও নৌপথ উভয় পরিবহন মালিকরা ইতোমধ্যেই ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে। শেষপর্যন্ত এসব চাপের বোঝা পড়বে ভোক্তাদের ওপর।