নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারীদের আগ্রহ কম: ইউএসএআইডি
স্থানীয় বাজারের জন্য খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের নিরাপদ মান বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা কৌশল গ্রহণ করতে চান না। তবে যারা পণ্য রপ্তানি করেন তারা এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে থাকেন।
সোমবার ওয়েবিনারে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা, ইউএসএআইডি আয়োজিত দুটি প্রকল্পের ওপর গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে।
নিরাপদ খাদ্যের সাপ্লাই চেইন জোরদার করতে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইউএসএআইডি।
প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়নের উপর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেকটর মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, 'যারা দেশের জন্য খাবার তৈরি করেন তারা নিরাপদ খাদ্য নিয়ে খুব বেশি কাজ করতে চান না। তবে যারা পণ্য রপ্তানি করেন তারা আবার এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে'।
এই কর্মসূচীর মাধ্যমে ইউএসএআইডি স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামো এর ওপর ভলান্টিয়ার টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা প্রযুক্তিগত ঐচ্ছিক সহায়তা প্রদান করে বলে জানান মো. মাকসুদুর রহমান। এ পর্যন্ত মোট ১৪টি সংস্থা এই সহায়তা নিয়েছে। যাদের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি বেড়েছে বলে জানা গেছে। নিরাপদ খাদ্য পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করার সুবিধা তৈরির উদ্দেশ্যে সংস্থাগুলো তাদের একটি বাজারমান বাড়াতে স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামো খাতে ৪২ হাজার ইউএস ডলার বিনিয়োগ করেছে ।
এসএমই এগ্রোবেইজড কোম্পানিগুলোকে সাধারণত এই ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে হোটেল-রেষ্টুরেন্টের জন্য একটি বিধিমালাও তৈরি করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন, মাছের উৎপাদন বাড়ানো, প্রান্তিক কৃষক, তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কাজ চলছে 'ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ এগ্রিকালচার এন্ড নিউট্রিশন একটিভিটি' নামক কর্মসূচীর মাধ্যমে। ওয়ার্ল্ড ফিশ অর্গানাইজেশনের সহযোগীতায় এই কর্মসূচীটি পরিচালিত হচ্ছে ২০১৮ সাল থেকে এবং এটি চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত।
এই কর্মসূচীর মাধ্যমে বিভিন্ন মাছের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা, ৪ লাখ কৃষকের কাছে উন্নত খাবার পৌঁছানোর চেইন তৈরি করা এবং বেসরকারি খাতকে এর সঙ্গে যুক্ত করার জন্য কাজ চলছে।
ওয়েবিনারে ওয়ার্ল্ড ফিশের সিনিয়র ম্যানেজার (মার্কেট সিস্টেম) নূরুল করিম ভূঁইয়া বলেন, এই কর্মসূচীর মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরী করা হবে, যেখানে বেসরকারী খাত ও কৃষক একে অন্যের কাছ থেকে সরাসরি সুবিধা গ্রহণ করবে।