বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নতজাত নিতে আগ্রহী নেপাল
বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নতজাত নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের সাথে 'সমঝোতা স্মারক' (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় দেশটি।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র, কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এর সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা জানান।
ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে ডা. বানশিধর মিশ্র বলেন, 'নেপালের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। কিন্তু নেপাল চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বরং বছরে অনেক চাল আমদানি করতে হয়। সেজন্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চাল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশি ধানের জাত নেপাল নিতে চায়'।
তিনি আরও বলেন, চাল ছাড়াও অন্যান্য ফসল, বীজ, উন্নত জাত, প্রযুক্তি, গবেষণাসহ কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য 'সমঝোতা স্মারক' স্বাক্ষর করা প্রয়োজন।
একইসঙ্গে আদা, এলাচিসহ গরম মসলা বাংলাদেশে সরাসরি রপ্তানির আগ্রহের কথাও জানান ডা. বানশিধর মিশ্র। তিনি বলেন, 'বর্তমানে ভারত হয়ে এসব পণ্য বাংলাদেশে আসে। ফলে বাংলাদেশে দাম অনেক বেড়ে যায়। সরাসরি বাংলাদেশে আসলে দাম অনেক কম পড়বে'।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ' দেশে ১০০টির বেশি উন্নত জাতের ধান ও প্রযুক্তি রয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলো মেগা ভ্যারাইটি। নেপাল এ জাতগুলো বাংলাদেশে থেকে নিতে পারে। এছাড়া, দু'দেশের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য 'সমঝোতা স্মারকে' বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে'।
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বিষয়ে নেপালের রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সাথে নেপালের পিটিএ চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এর আগে নেপাল ভুটানের সাথে পিটিএ চুক্তি সই করেছে। দ্বিতীয় দেশ হিসাবে বাংলাদেশের সাথে চুক্তিটি সই হবে।