ভুল সিআইবি রিপোর্ট: তিন ব্যাংকের জরিমানা বহাল রাখল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ভুল সিআইবি রিপোর্ট দাখিলের পর জরিমানা থেকে অব্যাহতি চাইলেও তা পাচ্ছে না ওয়ান, অগ্রণী ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে জরিমানা মওকুফে রাজি হয়নি বোর্ড সদস্যরা।
ব্যাংক সূত্র জানায়, তিন গ্রাহকের ঋণ মানের তথ্য গোপন করায় জরিমানা করা হয়েছিল অগ্রণী ব্যাংক এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে। এছাড়া ভুল তথ্য দেওয়ায় ওয়ান ব্যাংককে জরিমানা করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪১৭তম বোর্ড সভায় এসব জরিমানা বাতিলের আবেদন করা হলেও তা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ। সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
এছাড়া, পর্যটন খাতের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে আরও ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে পর্যটন খাতের হোটেল-মোটেল ও থিম পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৮ শতাংশ সুদে এক হাজার কোটি টাকার স্কিম গঠন করা হয়।
সব মিলিয়ে এ খাতে ঋণ দেয়ার জন্য দেড় হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন সম্পন্ন হলো। তবে মোট সুদের ৪ শতাংশ দেবে সরকার এবং বাকি ৪ শতাংশ গ্রাহকদের দিতে হবে।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের মুদ্রানীতিতেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড পরিচালকদের লাভের জন্য সব আর্থিক সূচকের সংখ্যার গড়মিল হিসাব প্রকাশ করে। এর ফলে ব্যাংকটির ৩০ শতাংশেরও বেশি শেয়ারধারী পরিচালকরা ক্যাশ ডিভিডেন্ট হিসেবে ব্যাংক থেকে আরও বেশি নগদ অর্থ নিতে পারবে।
এদিকে তাহেরা অ্যাপারেলস লিমিটেড, ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড এবং রুপা শিপিং লাইনস এর ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করায় অগ্রণী ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, সিআইবি রিপাের্টে এমটিবির গ্রাহক মামুন এন্টারপ্রাইজের ঋণ তথ্য গোপনের অভিযাগে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের উপর আরোপিত জরিমানা মওকুফ করা হয়নি।
এছাড়া প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেড এর অনুকূলে ইস্যুকৃত লেটার অব ইনটেন্ট এর শর্তাবলী পূরণের সময়বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিরাজুল ইসলাম।
সভায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের তথসিলি ব্যাংকসমূহ কর্তৃক কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কৃষি খাতের জন্য ২য় পর্যায়ে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে।