মার্চে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রায় ৭ শতাংশ পতন
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থায় ধুকছে বিশ্ব অর্থনীতি। এর প্রভাবটা বেশ ভালোভাবেই অনুভব করেছে চীন। আন্তর্জাতিক বাজারে নানা প্রকার ভোগ্য পণ্যের চাহিদা কমায়, গত মার্চে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটির রপ্তানি প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ পতনের শিকার হয়েছে। সেই তুলনায় অবশ্য আমদানি কমেছে মাত্র দশমিক ৯ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা অবশ্য আরও বড় ধরনের সংকোচন অনুমান করেছিলেন।
দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যখন ব্যাপক উন্নতি এসেছে এবং ধীরে ধীরে কিছু কিছু কারখানা পুনরায় উৎপাদনে ফিরছে তার মাঝেই এসব তথ্য জানা গেল। আজ মঙ্গলবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মার্চের আমদানি-রপ্তানি তথ্য প্রকাশ করে। খবর রয়টার্সের
তবে চীনা অর্থনীতি সচল হওয়ার পথে থাকলেও বৈশ্বিক চাহিদার পতনে সহসাই ব্যাপক আকারে উৎপাদনে যেতে পারবেনা দেশটির বৃহৎ শিল্পগুলো। সার্বিকভাবে এসব শিল্পের রপ্তানি বাজার নির্ভর করছে বিশ্ব পরিস্থিতি কতটা উন্নতি করে তার উপর।
মঙ্গলবার চীনের সরকারি সূত্র বৈদেশিক বাণিজ্যের হালচিত্র জানানোর আগে- রয়টার্স জরিপে অংশ নেওয়া অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগ ১৪ শতাংশ রপ্তানি পতনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এর আগে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের জাহাজে পণ্য রপ্তানি ১৭ দশমিক ২ শতাংশ কমেছিল, সেই প্রেক্ষিতেই তারা মার্চেও রপ্তানি ধ্বসের আশঙ্কা করেছিলেন।
রয়টার্স জরিপ আমদানিতেও সাড়ে ৯ শতাংশের বড় পতন পূর্বাভাস দিয়েছিল। বছরওয়ারি হিসাবে যা চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ৪ শতাংশ কমে।
এদিকে সবমিলিয়ে গত মার্চে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ১ হাজার ৯৯০ কোটি মার্কিন ডলার। রয়টার্স অবশ্য ১ হাজার ৮৫৫ কোটি ডলারের পূর্বানুমান করেছিল। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে বাণিজ্য ঘাটতি কাটিয়ে উঠেই চীন এই অবস্থানে ফেরে। আলোচিত মেয়াদে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭শ কোটি ডলার।