লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চামড়া সংগ্রহ কম
এবারের কোরবানিতে ঢাকায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০-২৫% কম হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে আগের বছরের চেয়ে এবার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা দাম ভালো পাচ্ছেন। বিশ্ববাজারে চামড়ার দাম থাকায় ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকেও চামড়া কেনার চাহিদা রয়েছে এমনটাই জানালেন আড়তদাররা।
সরবরাহ কম থাকায় চামড়া নিয়ে এবার চামড়া নিয়ে হ-য-ব-র-ল পরিস্থতির সৃষ্টি হয়নি।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা দাম কম পাওয়ার অভিযোগ করলেও আড়তদাররা বলছেন, আগের বছরের চেয়ে এবার দাম ভালো। চামড়ার আকার ও মান যাচাই না করে যারা বেশি দামে কিনেছেন, তারা দাম কম পাওয়ার অভিযোগ করতে পারেন।
এদিকে লবণ নিয়ে অরাজকতার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, সুবিধাভোগী কিছু লবণ ব্যবসায়ী হঠাৎ করে বস্তা প্রতি লবণের দাম ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান টিবিএসকে বলেন, 'এবার ঢাকার ভিতরে কাঁচা চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ পিস। তবে ক্ষমতার চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে এসেছে। অবশ্য ট্যানারি মালিকরা আড়তদারদের টাকা এখনো সব পরিশোধ করেননি। ট্যানারি মালিকদের কাছে আমাদের এখনো ১০০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোরবানি কম হয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী চামড়া আসেনি।'
বৃহস্পতিবার পোস্তা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা রিকশা, ভ্যান ও ট্রাকে চামড়া নিয়ে এসে আড়তদারদের কাছে বিক্রি করছেন।
প্রতিটি চামড়া আড়তদাররা কিনছেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। বড় গরুর চামড়া কেউ কেউ ৮০০ টাকায় কিনছেন।