১০ শতাংশ বা ১০০ জন ট্রান্সজেন্ডারকে নিয়োগ দিলে মিলবে করছাড়
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থানের পরিবর্তনের লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের নতুন বাজেটে বিশেষ কর প্রণোদনার প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, 'যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তার মোট কর্মচারীর ১০ শতাংশ বা ১০০ জনের বেশি তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়, তবে ওই কর্মচারীদের পরিশোধিত বেতনের ৭৫ শতাংশ বা প্রদেয় করের ৫ শতাংশ, যেটি কম, তা নিয়োগকারীকে কর রেয়াত হিসেবে প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করছি।'
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সামাজিক ও অর্থনীতির মূলধারায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
তৃতীয় লিঙ্গের এই জনগোষ্ঠী আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকার পাশাপাশি সমাজের মূলধারার বাইরে অবস্থান করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মক্ষম এই জনগোষ্ঠীকে উৎপাদন-নির্ভর পেশায় নিযুক্ত করার মাধ্যমে তাদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আর তাই তাদের কথা মাথায় রেখে করছাড়ের প্রস্তাব রাখা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের করমুক্ত আয়সীমা ছিল তিন লাখ টাকা। বর্তমানে তা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাধারণ মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে বৈষম্যের শিকার এবং সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ে বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মূলধারাকরণের প্রস্তাব রাখে।
বর্তমানে দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কোনো আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা নেই।