একসঙ্গে তিন বছরের এজিএম করবে বিচ হ্যাচারি
২০১৬ সাল থেকে পাঁচ বছর ব্যবসা বন্ধ থাকার পর গত বছরের জুনে উৎপাদনে ফিরেছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। ২৮ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে তিন বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে এই এগ্রো ফার্মের।
বেশ কয়েকবার ঘোষণা দেওয়ার পরেও ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এজিএম করতে ব্যর্থ হয় তারা।
২০০২ সালে স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত হয় বিচ হ্যাচারি।
মঙ্গলবার স্টক এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে কোম্পানিটি বলে, হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২৮ সেপ্টেম্বর তারা ২৪তম এজিএম করবে। ২০২০ সালের ২৯ মার্চ এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিচ হ্যাচারির ব্যবসা ছিল মূলত কক্সবাজারের টেকনাফে। সরকার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের জন্য এর জমি অধিগ্রহণ করলে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল কোম্পানিটি বন্ধ ঘোষণা করতে হয়।
২০১৯ সালে কোম্পানিটি একটি নরওয়ে-ভিত্তিক কোম্পানি দ্বারা টার্নকি ভিত্তিতে প্রদত্ত রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম (আরএএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার মাছ চাষের ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগ নেয়।
এরপর তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, কই, সরপুঁটিসহ অন্যান্য মাছ উৎপাদনের জন্য ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় ১০১ দশমিক ১৯ একর জমি লিজ নেয়।
গত বছরের জুনে কোম্পানিটি আবার উৎপাদনে ফিরে আসে; এরপর থেকেই তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যেই লাভের মুখ দেখা এগ্রো ফার্মটি তার শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে।
এর আগে যখন কোম্পানিতে লোকসান হওয়ার উপক্রম হয়, সেসময় শেয়ারহোল্ডাররা কোনো লভ্যাংশ পাননি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.১০ টাকা, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.২৫ টাকা।