ফাঁকি ঠেকাতে সিগারেট পেপারের প্রাপ্যতা অনলাইনভিত্তিক করতে চায় এনবিআর
তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে কর ফাঁকি ঠেকাতে এর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হওয়া সিগারেট পেপারের প্রাপ্যতা নির্ধারণকে অনলাইনভিত্তিক করার কথা ভাবছে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর)।
এ লক্ষ্যে কোন বিশেষায়িত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (অ্যাপস) উদ্ভাবন করা যায় কিনা, তা ভাবতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় এনবিআরের অফিসে মাঠ পর্যায়ের সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। গত সেপ্টেম্বর মাসের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মাসে আমদানি পর্যায়ে ইমপোর্ট ডিউটিসহ অন্যান্য ট্যাক্স কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। মাঠ পর্যায়ে ভ্যাট ফাঁকি ঠেকানোর মাধ্যমে বাড়তি রাজস্ব আদায় করে ইমপোর্ট স্টেজে কমে যাওয়া রাজস্বের ক্ষতি কিছুটা সামাল দিতে চায় এনবিআর।
এ লক্ষ্যে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের ব্যবসায়ে নজরদারি বাড়ানো এবং তাদের কাছ থেকে যথাযথ ভ্যাট আদায় বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
একই আলোচনায় সিগারেট পেপার আমদানির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে।
এনবিআরের লার্জ ট্যাক্সপেয়ারর্স ইউনিট (এলটিইউ-ভ্যাট) এর [যে অফিস থেকে তামাক খাতের সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়] একজন সিনিয়র কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "সিগারেট পেপার কমার্শিয়ালি ইমপোর্টের সুযোগ থাকায় উৎপাদনকারী ছাড়াও অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান আমদানি করতে পারে। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় তার হদিস পাওয়া যায় না, যা কর ফাঁকির অন্যতম উপায় বলে আমরা মনে করি।"
ফাঁকি ঠেকাতে উৎপাদনকারী ছাড়া অন্যদের সিগারেট পেপার আমদানির সুযোগ বন্ধ হওয়া উচিত এবং উৎপাদনকারীদেরও যথাযথ উপায়ে প্রাপ্যতা নির্ধারণ ও তা তদারকের ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
গত মাসে সরকারের রাজস্ব আদায়ের গতি আগের দুই মাসের তুলনায় কমেছে। এই সময়ে ভ্যাট আদায় ১৭ শতাংশ বাড়লেও ইমপোর্ট ট্যাক্স আদায় প্রায় দেড় শতাংশ কমে গেছে, যা সার্বিকভাবে রাজস্ব আদায় কমার জন্য দায়ী।