কাঁচামাল আমদানিতে ৩ স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় পোশাক রপ্তানিকারকরা
ভোমরা, সোনা মসজিদ ও দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে সুতাসহ সব ধরনের কাঁচামাল আমদানির অনুমতি চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
গত ৩ নভেম্বর বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউসগুলোকে অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানান।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর এনবিআর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এক বৈঠকে এই তিনটি বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আদেশ (সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ) জারি হয়নি, যা একটি দুঃখজনক বিষয়।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের সুতা আমদানির সিংহভাগ শুধু বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে হয়। ফলে রেলের মাধ্যমে সুতা আমদানির সুযোগ না থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরা।
অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সব জায়গায় কাঁচামালের দাম চড়া। আবার জ্বালানি সংকটের কারণে সামগ্রিক উৎপাদন খরচও বেড়েছে।
তাই চিঠিতে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, বিজিএমইএ সভাপতি ভোমরা, সোনা মসজিদ, দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে এবং রেলপথ দিয়ে সুতা ও অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির সুযোগ চেয়েছিলেন।
আরএমজি মালিকরা বিশ্বাস করেন, তাদের দাবি পূরণ হলে চলমান এ সংকটের সময়ে তৈরি পোশাকখাত বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।
বর্তমানে পোশাক প্রস্তুতকারীরা বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি করতে পারে। এছাড়া, তারা একই এলসির অধীনে আংশিক সুতা আমদানির জন্য শুধু চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করতে অনেক সময় লাগে। তাই সময় বাঁচাতে অনেক আরএমজি মালিক শুধু বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই সুতা আমদানি করে। কিন্তু বিদ্যমান বিধিবিধানে ওই বন্দর দিয়ে আংশিক আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের প্রস্তাবে মনোযোগ দেয় এবং তা বাস্তবায়ন করে, তাহলে একটি স্থলবন্দরের ওপর চাপ কমবে।"
এর মাধ্যমে আমদানির গতি বাড়বে এবং সময় ও খরচ দুটোই বাঁচবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।