২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৩ শতাংশ
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে উৎপাদন কিছুটা বিঘ্নিত হলেও তৈরি পোশাক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাময়িক তথ্য অনুযায়ী, প্রধানত তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানির ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ টানা চতুর্থ মাসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে আগের বছর তা ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
এনবিআর জানায়, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রপ্তানি আয় ছিল ২৪ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার ।
দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি পোশাক (আরএমজি) থেকে প্রথমার্ধে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশেরও বেশি।
আরএমজি রপ্তানিকারকরা এই প্রবৃদ্ধির পেছনে দুটি মূল কারণ উল্লেখ করেছেন—প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, যা বিক্রি বাড়িয়েছে, এবং শিল্পাঞ্চলগুলোর শ্রমিক অসন্তোষ স্থিতিশীল হওয়ায় বাইরের দেশে চলে যাওয়া কিছু অর্ডার পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে এসেছে।
টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, বাংলাদেশে যে আগের থেকে বেশি অর্ডার পাচ্ছা তা এই রপ্তানি প্রবৃদ্ধিই ইঙ্গিত করে।
টিম গ্রুপের ছয়টি উৎপাদন ইউনিটই বর্তমানে পূর্ণ সক্ষমতায় চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি বৃদ্ধির পেছনে পশ্চিমা বিশ্বে ক্রিসমাস, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, নিউ ইয়ার, থ্যাংকসগিভিং এবং বক্সিং ডে-এর ভূমিকা ছিল।
এনভয় টেক্সটাইলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ জানান, তাদের টেক্সটাইল মিল প্রথম ত্রৈমাসিকে ৯২ শতাংশ সক্ষমতায় কাজ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত পূর্ণ সক্ষমতায় অর্ডার নিয়েছি এবং ডিসেম্বর মাসেও পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রধান ক্রেতারা তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ চালানোর পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে, তিনি সতর্ক করেছেন যে, পশ্চিমা দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, যার ফলে ক্রেতারা দাম কমানোর চেষ্টা করছে।