২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া, চামড়াজাত পণ্য থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য: বাণিজ্যমন্ত্রী
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে বার্ষিক রপ্তানি আয় ১ বিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার চেষ্টা করছে সরকার।
"লেদার পণ্যের মান ঠিক রাখা রপ্তানি বাজারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাঁচামাল এবং দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমরা লেদার শিল্পকে অনেকদুর এগিয়ে নিতে পারি। আন্তর্জাতিক বাজারে লেদার পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে,"বুধবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ট্রেড শো লেদারটেক বাংলাদেশের ৮ম সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন বাংলাদেশের জন্য এলডিসিভুক্ত দেশের সুযোগ-সুবিধা থাকবে না। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করেই দেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
"চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভিয়েতনাম ও চীনের মতো দেশগুলো থেকে লেদার শিল্প স্থানান্তর করা হচ্ছে, যেটি বাংলাদেশে জন্য বড় সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। উন্নতমানের পণ্য উৎপাদন করে লেদার শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের শিল্প উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। সরকারও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে," যোগ করেন তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে এগুলোতে অতি সহজেই লেদার শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। ইতোমধ্যে অনেক দেশ বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আরও প্রয়োজন। বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।"
লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, "কোভিড-পরবর্তী সময়ে নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের এগোতে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের নীতি সহায়তা প্রয়োজন। সহায়তা পেলে এই খাত আরও এগিয়ে যাবে।"
তিনি বলেন, "আমরা সস্তা নয়, শ্রেষ্ঠ পণ্য রপ্তানি করতে চাই। এখন পণ্যের বহুমুখীকরণ জরুরি।"
বাংলাদেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের জন্য যন্ত্রপাতি এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের জন্য জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী হলো লেদারটেক বাংলাদেশ।
এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ অন্তত ১০টি দেশের প্রায় ২০০টি কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই মেলা।
এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দগোপাল কে এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ প্রমুখ ট্রেড শো'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।