সংশোধিত এডিপি: বৈদেশিক সহায়তায় নয়, আগ্রহ সরকারি তহবিলে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ এবং এক্সচেঞ্জ রেটের অবমূল্যায়ন ঠেকাতে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ, সেখানে মার্কিন ডলারে বৈদেশিক তহবিল অ্যাক্সেস করা একটি অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করাকেই বেছে নিচ্ছেন।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রস্তাবগুলি বিশ্লেষণ করে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড দেখেছে, কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদেশি তহবিল বরাদ্দ কমিয়েছে এবং এর পরিবর্তে সরকারি তহবিল বৃদ্ধির দাবি করেছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চলমান মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প এবং মাতারবাড়ি বন্দরের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কথা।
এই দুই প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সরকারি তহবিল থেকে ৬০ কোটি টাকা আর বৈদেশিক সহায়তা খাত থেকে বরাদ্দ আছে ১৫০০ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে এই দুই প্রকল্পে সরকারি তহবিল থেকে বাড়তি ১৬% বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ৯৬% কমানোর প্রস্তাব করেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে যে কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
চলতি অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদার নিয়োগ এবং কার্যাদেশ দেওয়ার কথা ছিল। এসব প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার কারণে বৈদেশিক ঋণের অর্থ ব্যয় করা যাবে না। এ কারণে সংশোধিত এডিপি বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি তহবিলের অর্থায়নের প্রকল্পে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্ত ডলারের সরবরাহ বাড়াতে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
ঠিক এই সময়ে অনেক বাস্তবায়নকারী সংস্থাই বৈদেশিক সহায়তা খাতের বরাদ্দ কমিয়ে সরকারি তহবিল থেকে বেশি বরাদ্দ দাবি করছে সংশোধিত এডিপিতে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ছাড়াও সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমানসহ অনেক সংস্থার একইরকম বরদ্দের দাবি জানিয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে চলতি অর্থবছরে সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম কল নোটিশ অনুযায়ী বরাদ্দের চাহিদা দিয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও মন্ত্রণালয় ও বিভাগুলোর বৈদেশিক তহবিলে আগ্রহ কম। অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাড়তি বরাদ্দ চায় সরকারি তহবিল থেকে।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি তহবিলের অর্থ ব্যয়ে জটিলতা কম। অন্যদিকে উন্নয়ন সহযোগীদের সব ধরণের শর্ত মেনে বৈদেশিক ঋণ ব্যবহার করতে হয়।
এছাড়া বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে কর্মকর্তাদের দক্ষতা ঘাটতি রয়েছে। অনেক সময় উন্নয়ন সহযোগীদের কারণেও কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বৈদেশিক ঋণ ব্যয় করা যায় না। যেমন দরপত্র প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়ন সহযোগীদের বারবার সম্মতি নিতে হয়, এতে সময়ক্ষেপণ হয়।
এসব কারণে সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ আগ্রহ কম মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রণালয় ও বিভাগরে চাহিদার অনুযায়ী নয়, সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ পুনবন্টন হবে প্রকল্পের অগ্রাধিকার, সরকারের রাজস্ব আহরণ, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়।
তবে বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়ে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ বৈদেশিক ঋণের ছাড় বাড়লে একদিকে উন্নয়ন কার্যক্রম ও সচল থাকবে অন্যদিকে কিছুটা হলেও রিজার্ভের সহায়তা হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা, উন্নয়ন প্রকল্পে যে বৈদেশিক ঋণ ব্যবহার হয়, গড়ে তার ৩০ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের সংস্থাগুলোর প্রকল্পে জন্য সরকারি তহবিলের বরাদ্দ ১৫% বাড়ানো এবং বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দ ৮৩.৩৫% কমানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
নৌ- পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বৈদেশিক ঋণের ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রায় বড় পরিবর্ত এসেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকল্পে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা মোংলাবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ৫টি প্রকল্পে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ ৬৮১ থেকে বাড়িয়ে ৭০২ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা থেকে নামিয়ে ৪৬ কোটি টাকার করার প্রস্তাব দিয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫টি প্রকল্পের মধ্যে বৈদেশিক ঋণে বাস্তবায়ন হচ্ছে মাত্র একটি প্রকল্প। প্রকল্পটি হলো আপগ্রেডশন অব মোংলা পোর্ট। এটি ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
এ প্রকল্পের সরকারি তহবিলের বরাদ্দ ১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের ব্যবহার ৫০০ কোটি টাকা কমিয়ে ৪৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা প্রধান মো. জাহিদুল হক বলেন, "চলতি অর্থবছরে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত পরামর্শক নিয়োগে বিলম্ব হওয়ায় মূল কাজ শুরু করা যাবে না। এ কারণে বৈদেশিক ঋণও লক্ষ্য মাত্রা অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে না বলে বরাদ্দ কমিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।"
বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি খাতের বরাদ্দ প্রায় একই থাকলেও বৈদেশিক ঋণের বরাদ্দ দুই হাজার কোটি টাকার বেশি কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ের প্রকল্পের মধ্যে দোহাজারি –কক্সবাজার রেল রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পে ১০৭৫ কোটি টাকা এবং পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে ৪০০ কোটি টাকা বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ থেকে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় ঋণে রেলওয়ের কয়েকটি প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ কমছে বলে জানায় পরিকল্পনা কমিশন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, রেলের বেশিরভাগ প্রকল্পের ঠিকাদার বিদেশি, তাদের ঠিকমতো যন্ত্রপাতি প্রকল্প সাইটে নিয়ে আসে না। মূলত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কারণে রেলওয়ের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কম।
এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যয় করা সম্ভব হবে না বলে সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তারে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, দেশীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো কাজ করছে না বলে রেলওয়ের একটি মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রকল্পগুলোতে সরকারি তহবিল থেকে বাড়তি ৮% বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ থেকে ৩২.৬% কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই বিভাগের অধীনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিডেটের (ডিএমটিসিএল) চলমান ৫ মেট্রোরেল প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এমআরটি-১ এর প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, "চলতি অর্থবছরে বিমানবন্দর থেকে রামপুরা পর্যন্ত মূল লাইন নির্মাণের জন্য আমাদের তিনটি চুক্তির প্যাকেজ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা বরাদ্দ কমিয়েছি।"
প্রাথমিক নকশা, বিস্তারিত নকশা এবং জমি অধিগ্রহণের মতো প্রস্তুতিমূলক কাজে বিলম্বের জন্য তিনি করোনা মহামারিকে দায়ী করেন।
এছাড়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্বের জন্য বিদেশি অর্থদাতা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)কেও অভিযুক্ত করেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ৪.৯% কমানো এবং সরকারি তহবিলে বরাদ্দ ১৮% বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে অন্যান্য অনেক সংস্থার মধ্যে চলতি অর্থবছরে সংশোধিত এডিপিতে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ সরকারি খাতের বরাদ্দ সামান্য বাড়লেও বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ১৫৪৯ কোটি টাকা কমছে।
এই সংস্থাটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পসহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর উন্নয়নে ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন রয়েছে।
এদিকে বাস্তবায়ন সক্ষমতা না বাড়ায় চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ১৮৫০০ কোটি টাকা কমিয়ে ৭৪৫০০ কোটি টাকা করা হচ্ছে বলে জানান ইআরডি সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে ইআরডি, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে।
বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো সংশোধিত এডিপিতে প্রথম ৭৮০০০ কোটি টাকা বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছিল। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো আরো ৩৫০০ কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
অপরিবর্তীত থাকতে পারে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ
চলতি অর্থবছরে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ অপরিবর্তীতে থাকতে পারে। অর্থ বিভাগ থেকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
চলতি অর্থবছরে এডিপি সরকারি তহবিলের বরাদ্দ আছে ১,৪৫,৩০৬ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো সরকারি তহবিলের অর্থ ব্যবহারে তাদের চাহিদামতো বরাদ্দ দিলেও তার পুরোটা ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার, অগ্রাধিকার প্রকল্পের এ, বি, এবং সি ক্যাটাগরি করেছে। সংশোধিত এডিপিতে এ বি সি ক্যাটাগরি আরো যুক্তি সংগত করে পুনর্বিন্যাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
কোভিড পরিস্থিতি এবং রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করে সরকার। এই ধারাবাহিকতায় সরকার কম গরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্থছাড় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
চলতি অর্থবছরের শুরুতে গত ৩ জুলাই অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ, বি এবং সি ক্যাটাগরি প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই এ বি সি ক্যাটাগরির তালিকা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
পরিপত্র অনুযায়ী, অগ্রাধিকার পাওয়া 'এ' ক্যাটাগরির প্রকল্প বাস্তবায়নে শতভাগ বরাদ্দ অক্ষুণ্ণ রাখা হয়।
'বি' ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর বরাদ্দের সরকারি অংশের ২৫ শতাংশ কর্তন করা হয়। আর 'সি' ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলো চলতি অর্থবছর কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারবে না। বৈদেশিক সহায়তা পুষ্ট সব প্রকল্প রাখা হয়েছে এই ক্যাটাগরিতে।