নগদ ফাইন্যান্সের চূড়ান্ত অনুমোদন
'নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি' নামের নতুন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল পরিষেবা দানকারী নগদ পরিচালনার জন্য কোন বাধা রইল না।
বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্র্যান্ড নগদ।
তবে নতুন করে নগদকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এমএফএস লাইসেন্স নিতে হবে বলে টিবিএসকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক।
মেজবাউল হক বলেন, রোববার (২ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও গত ৩০ জুলাই 'নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি' নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল।
প্রস্তাবিত কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন সামিট গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদ খান। নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক প্রস্তাবিত এনবিএফআই-টির পরিচালক। এছাড়া কোম্পানিটির আরও নয়জন পরিচালক রয়েছেন যাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষস্থানীয় ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেন, "অনুমোদনের শর্তগুলোর মধ্যে একটি হলো, নগদ ফাইন্যান্সকে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে বিদেশ থেকে ৯০% এর বেশি বিনিয়োগ আনতে হবে।
ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ১০০ কোটি টাকা।
প্রবিধান অনুযায়ী, একটি এমএফএস কোম্পানি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারবে না; তাকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাবসিডারি হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংকের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সহযোগী রকেট।
যেহেতু নগদ একটি স্বাধীন এমএফএস হিসেবে কাজ করতে পারবে না, তাই তারা একটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে।
বর্তমানে দেশের ৩৫টি এনবিএফআইয়ের মধ্যে মাত্র ১০টি স্বাভাবিকভাবে বলছে। বাকিগুলো দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে।
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের এক এনবিএফআই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কারণে বাতিল হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে ২০১৯ সালে 'নগদ' যাত্রা শুরু করে। গ্রাহক সংখ্যার বিবেচনায় বর্তমানে 'নগদ' এর মার্কেট শেয়ার ৩০ শতাংশ। নগদের গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটির বেশি।