নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৫ বছর করলো ইপিবি
নিবন্ধন সনদের মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছরে উন্নীত করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এখন থেকে রপ্তানিকারকরা এই মেয়াদে নিবন্ধন সনদ ইস্যু বা নবায়ন করতে পারবেন। রপ্তানিকারক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামুলক এই সনদ এতদিন ধরে এক বছর মেয়াদে ইস্যু বা নবায়ন করা হত।
গত ২৭ এপ্রিল এক আদেশে নিবন্ধন সনদের মেয়াদ বিষয়ে এই ঘোষণা দেয় ইপিবি। ব্যবসা সহজ করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধন সনদের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চে অনুষ্ঠিত ইপিবির বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ইপিবি জানিয়েছে, রপ্তানিকারক তার প্রয়োজন অনুযায়ী ১ থেকে ৫ বছরের যেকোনো মেয়াদি সনদ ইস্যু বা নবায়নের আবেদন করতে পারবেন। নিবন্ধন সনদ ইস্যু বা নবায়নের তারিখ থেকে মেয়াদ গণনা করা হবে। সনদের মেয়াদ অনুযায়ী নিবন্ধন গ্রহণকারী রপ্তানিকারক ফি পরিশোধ করবেন। আবেদন করতে হবে ems.epb.gov.bd এই ঠিকানায় অনলাইনে।
তবে এই সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র যেসব রপ্তানিকারকের নিবন্ধন হালনাগাদ করা আছে। যেসব রপ্তানিকারকের সনদের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত হালনাগাদ নয়, তারা এ সুবিধা পাবেন না। তাদেরকে প্রথমে সনদ হালনাগাদ করে নিতে হবে, পরে নতুন মেয়াদের সনদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একইসঙ্গে হালনাগাদ নিবন্ধন ব্যতীত ইপিবি থেকে জিএসপি, সিও, সাপটা, সাফটা, আপটা ও আরইএক্স সনদও দেওয়া হবে না।
দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। এ খাতের ব্যবসায়ীরাই বেশি রপ্তানি নিবন্ধন নিয়ে থাকে। নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম টিবিএসকে বলেন, "ইপিবির এই সিদ্ধান্ত ব্যবসার জন্য ইতিবাচক। ব্যবসায়ীদের অনেক দিনের দাবি এটি। এতে ব্যবসা করা সহজ হবে। সময় ও খরচও সাশ্রয় হবে।"
ব্যবসা সহজ করতে সরকারি পদক্ষেপ
বিশ্ব ব্যাংকের সর্বশেষ এজ অব ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্সে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৮তম। এই সূচকে পেছনে থাকার কারণে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে, দেশের ব্যবসার প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে বলে বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
এরপর থেকে ব্যবসা সহজ করার জন্য সরকার বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ নেয়। যদিও ২০২০ সালের পরে বিশ্বব্যাংক আর এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু, সহজে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়াসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।
গত বছরের শেষের দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আরেক সংস্থা প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ইস্যু বা নবায়নের মেয়াদ এক বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর করা হয়।