ধনীদের জন্য সুখবর: সারচার্জমুক্ত সম্পদের সীমা বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হলো
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সারচার্জমুক্ত সম্পদের সীমা ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করার সময় এ ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
যদিও এই উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সারচার্জ হিসাবের পদ্ধতি এমনভাবে সংশোধন করা উচিত যাতে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ধনী ব্যক্তিদের বেশি কর দিতে হয়—কিন্তু নতুন পদক্ষেপে উল্টো সারচার্জ কমবে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, 'বিত্তশালী ব্যক্তি করদাতাদের নিকট হতে নিট পরিসম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জ আদায় করা হয়। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিধানটি কার্যকর রয়েছে। ব্যক্তি করদাতার সারচার্জ সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে আয় ও সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে।'
'সারচার্জ আহরণের বিধান পরিপালন সহজীকরণ এবং মধ্যবিত্তদের করভার লাঘবে এ বছর ব্যক্তি করদাতার প্রদর্শনযোগ্য নিট পরিসম্পদের মূল্যের ভিত্তিতে করদাতার সারচার্জ আরোপের ক্ষেত্রে নূন্যতম সীমা ৩ কোটি হতে ৪ কোটিতে বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি। মট পরিসম্পদের মূল্যমান ৪ কোটি টাকা অতিক্রম করলে ১০ শতাংশ এবং নিট পরিসম্পদের মূল্যমানের সর্বোচ্চ সীমা ১০০ কোটি টাকা অতিক্রম করলে সারচার্জের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।'
বর্তমানে ব্যক্তি করদাতার সম্পদসীমা ৩ থেকে ১০ কোটি টাকার মধ্যে থাকলে, অথবা একাধিক গাড়ি কিংবা শহর এলাকায় ৮ হাজার বর্গফুট রিয়েল এস্টেট থাকলে তাকে ১০ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়।
২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পদের ওপর ৩০ শতাংশ এবং ৫০ কোটি টাকার উপরে সম্পদের জন্য ৩৫ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়।
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর টিবিএসকে বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপে দেশে করদাতার সংখ্যা কমবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তি করদাতা ৬০০ কোটি টাকা সারচার্জ দিয়েছেন ।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, সারচার্জের হিসাব সম্পদের মূল্যের ওপর করা উচিত, আয়ের ওপর নয়।