২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬১.৭৩%
অর্থ ব্যয়ের সক্ষমতার অভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাস শেষে (জুলাই-মে) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-এর মাত্র ৬১.৭৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে সরকার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে এই হার ছিল ৬৪.৮৪ শতাংশ।
সোমবার (১৯ জুন) বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংশোধিত এডিপিতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর জন্য সরকারি তহবিলের যে পরিমাণ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, মে মাস পর্যন্ত এ বরাদ্দের মাত্র ৫৭.৪১ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই হার ছিল ৬১.৭৩ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারের কৃচ্ছ্রতা নীতির কারণে নির্দিষ্ট কিছু প্রকল্পে তহবিল বরাদ্দ সীমিত করা হয়েছে; যার ফলে সামগ্রিক এডিপি বাস্তবায়নের হার প্রভাবিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
আইএমইডি কর্মকর্তাদের মতে, এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের বিভিন্ন কৌশল প্রণয়নের চেষ্টা সত্ত্বেও, মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলো এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে নিজেদের সেই সক্ষমতা পুরোপুরিভাবে তৈরি করতে পারেনি।
অর্থছরের আলোচ্য সময়ে বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দের ৭০.৮৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে পেরেছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো,যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৯.৫৯ শতাংশ।
আইমএইডির তথ্য অনুযায়ী, ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, তাদের জন্য বরাদ্দ সরকারি তহবিলের অর্ধেকেরও কম অর্থ ব্যয় করতে পেরেছে।
বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দের অর্ধেকও অর্থ ব্যয় করতে পারেনি এমন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংখ্যা ১৪টি।
অর্থবছরের ১১ মাসে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বৈদেশিক ঋণ বরাদ্দে মাত্র ২২.৭৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে পরেছে।
তবে, সংশোধিত এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
এরমধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ১১ মাসে বরাদ্দের ৯২.৫৮ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে। এরপরে যথাক্রমে ভালো অবস্থানে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (৭৬.৪১ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ (৭৩.৪৯ শতাংশ) ও রেলপথ মন্ত্রণালয় (৭১.৮২ শতাংশ)।