রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দর বাড়িয়ে ১০৭.৫০ টাকা নির্ধারণ
রপ্তানিকারকদের জন্য এক ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
আজ সোমবার (২৬ জুন) এক সভায় এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। তবে রেমিট্যান্সের ডলারের দর ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বর্তমান নিয়মানুসারে, ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার কিনছে, বিক্রির সময় তার চেয়ে সর্বোচ্চ এক টাকা বেশি নিতে বলা হয়েছে তাদের।
বাফেদার সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নতুন নিয়মে আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের দর ১০৯ টাকা অতিক্রম করতে পারবে না।
যেমন কোনো ব্যাংকের ডলার কেনার গড় খরচ ১০৭.৫০ টাকা হলে, তারা সর্বোচ্চ ১০৮.৫০ টাকায় তা বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু, গড় খরচ ১০৮.৭০ টাকা হলে, বিক্রির সময় সর্বোচ্চ নিতে পারবে ১০৯ টাকা।
এর আগে গত ৩১ মে সিদ্ধান্ত হয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্সের ডলারে আরও ৫০ পয়সা দেওয়া হবে। আর রপ্তানি আয়ে বাড়বে ১ টাকা।
ফলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের নতুন দর দাঁড়ায় যথাক্রমে ১০৮.৫০ ও ১০৭ টাকায়।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাফেদা জানিয়েছে, সরকারের ২০.৫ শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রবাসীরা তাদের পাঠানো প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১১১.২৫ টাকা।
২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এবিবি ও বাফেদা রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দর নির্ধারণ করে যথাক্রমে ১০৮ ও ৯৯ টাকা।
সাম্প্রতিকতম সিদ্ধান্তসহ এনিয় মোট ১১ বার রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের দাম বাড়ানো হলো। অন্যদিকে, কমানো-বাড়ানোসহ রেমিট্যান্স পর্যায়ে ডলারের দাম পরিবর্তন করা হয়েছে মোট ৫ বার।