২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৮ শতাংশ কমেছে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি
আগের অর্থবছরে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৩৩,২৫০ মিলিয়ন ডলার হলেও, আমদানি নিয়ন্ত্রণের কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমে -১৭,১৫৫ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যসূত্রে যা জানা গেছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে আমদানি ১৫.৭৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৯.৪৯ বিলিয়ন ডলারে, অন্যদিকে রপ্তানি ৬.২৮ শতাংশ বেড়ে হয় ৫২.৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর সহায়ক হয়।
গেল অর্থবছরের শেষ মাসে আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা কমে যায়। এজন্য ডলার সংকট ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানিতে বিধিনিষেধ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান ব্যাংকাররা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, জুন মাসে আমদানির জন্য ৪.৭৫ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়, যা ছিল সর্বনিম্ন। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় এলসি খোলা কমে ৪৪ শতাংশ।
মে মাসে ৫.৮৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর এপ্রিলে তার পরিমাণ ছিল ৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার।
২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৯৪.২৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ৬৯.৩৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। অর্থাৎ, বছরওয়ারি হিসাবে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বা ২৭ শতাংশ কমেছে এলসি।
ব্যাংকাররা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্য আমদানির এলসি খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু পণ্য আমদানিতে ১০০ শতাংশ মার্জিন রেখে তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'এলসি খোলার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোয় ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার কমেছে। ফলস্বরূপ, সার্বিকভাবে এলসি'র পরিমাণও কমেছে।'
তিনি আরও বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট আমদানি করা পণ্যের পরিমাণ খুব বেশি কমেনি।