আকুর লেনদেনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো নোটিশ পায়নি: মুখপাত্র
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পত্তি না করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো নির্দেশনা পায়নি। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মোঃ মেজবাউল হক এই কথা জানান।
ভারতীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) সেখানকার ব্যাংকগুলোকে আকু সংক্রান্ত লেনদেন নিষ্পত্তি না করার নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাসহ সদস্যভুক্ত দেশগুলো আকুর মাধ্যমে বিলম্বিত আমদানি বিল পরিশোধ করায়, এসব প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এমন উদ্বেগ তৈরি হয়।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত আকুর মাধ্যমে লেনদেনে কোনো ধরনের সমস্যা দেখতে পায়নি। মুখপাত্র মোঃ মেজবাউল হক টিবিএসকে বলেন, আকুর একটি সেক্রেটারিয়েট বোর্ড আছে। এমন কোনো নির্দেশনা থাকলে আমরা চিঠি পেতাম।
তিনি বলেন, আজও আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো ভারত এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে লেনদেন করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, প্রতিবেদনটি দেখতে পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে। সেখান থেকেও কোনো নোটিশ না পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
আকু সিস্টেম বন্ধ থাকলে দেশের লেনদেন কেমন হবে জানতে চাইলে মেজবাউল বলেন, আমরা অন্যান্য দেশের সাথে যেভাবে সাধারণত আমদানি ও রপ্তানি করি, তখনো অর্থপ্রদানের পদ্ধতি একই হবে। তবে তাৎক্ষণিক অর্থ প্রদান করতে হবে। এখন আমরা দুই মাস পর দেশগুলোকে মূল্য পরিশোধ করতে পারি।
আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এবং সদস্যদের মধ্যে বাণিজ্য প্রসারে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা এসকাপের উদ্যোগে আকু গঠিত হয়। এর প্রধান কার্যালয় ইরানের রাজধানী তেহরানে।
সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা।