ডিসেম্বরে কমার পর জানুয়ারিতে ফের বেড়েছে মূল্যস্ফীতি
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে সামান্য কমার পর জানুয়ারিতে আবারও সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮৬ শতাংশে উঠেছে।
ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৪১ শতাংশ, যা ছিল আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছরের মার্চ থেকে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। নভেম্বরে এ হার ছিল ৯.৪৯ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে, খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জানুয়ারিতে খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯.৪২ শতাংশ, যা এর আগের মাসে ছিল ৮.৫২ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে কমে হয়েছে ৯.৫৬ শতাংশ, যা এর আগের মাসে ছিল ৯.৫৮ শতাংশ।
মূলত খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে মনে করেন ইন্সটিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী।
তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমদানি করা খাদ্য-বহির্ভূত সব পণ্যের দাম বেড়েছে। মূলত আন্তর্জাতিক পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এই বৃদ্ধি হয়েছে। তবে আমদানি পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সেবা, বাড়িভাড়া, পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। এর প্রভাবে মূলত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।'
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাম ও শহর উভয় এলাকায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। শহরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৯৯ শতাংশ হয়েছে জানুয়ারিতে; আগের মাসে এ হার ছিল ৯.১৫ শতাংশ।
জানুয়ারিতে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯.৭০ শতাংশ, এ হার এর আগের মাসে ছিল ৯.৪৯ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে মজুরি হারও বেড়ে হয়েছে ৭.৭৭ শতাংশ, যা এর আগের মাসে ছিল ৭.৭৪ শতাংশ।
মজুরি বৃদ্ধির হার গত ২৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হারের নিচে রয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, লোহিত সাগরে বাধার কারণে ফ্রেইট চার্জ বেড়েছে। এর ফলে পরিবহন খরচ বাড়ায় প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতির ওপর।