ঢাকায় দ্বিতীয় ভবন নির্মাণের জন্য আইডিবিকে ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ
সাধারণত বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার ঋণে বাস্তবায়ন হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। তবে এবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক উন্নয়ন সহেযোগী সংস্থা ভিত্তিক ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (আইডিবি) ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ।
ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশনাল ওয়াকফকে (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ) ঢাকায় আইডিবি ভবন-২ নির্মাণের জন্য ১৭৫.৮৮ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেবে সরকার।
অর্থবিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, ৩৬১.২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫তলা টুইন টাওয়ার ও চারতলা মাল্টিপারপারস বিজনেজ সেন্টার বা আইডিবি ভবন-২ নির্মাণ হচ্ছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, আইডিবি বাংলাদেশে তাদের অফিস কার্যক্রম পরিচালনা এবং বাণিজ্যিক উদ্যোগের জন্য ভবনটি নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন, 'হোস্ট কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশ ওই ভবন নির্মাণে ঋণসুবিধা দিচ্ছে। তবে ভবনের একটি অংশ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হলেও ওখান থেকে বাংলাদেশ সরকারকে কোনো আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে না।'
বাংলাদেশ শুধু ঋণের আসল ফেরত পাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
ইআরডি ও অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারে কাছ থেকে ইজারা হিসাবে পাওয়া জমির ওপর আইডিবির অর্থায়নে ১৯৯৭ সালে আগারগাঁওয়ে একটি ২০তলা বাণিজ্যিক ভবন এবং একটি চারতলা শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই ভবনে আইটি প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা ও অন্যান্য অবদানের জন্য প্রথম ভবনের সফলতার পর আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আইডিবি ভবন-২ নির্মাণের জন্য ইআরডিতে প্রস্তাব পাঠায়। একইসঙ্গে ঋণের অনুরোধও জানায়।
বাংলাদেশ সরকার ঋণ দিতে সম্মতি জানায় এবং অর্থ বিভাগের সঙ্গে আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউর ঋণচুক্তিও সই হয়।
গত ১৩ মার্চ অর্থ বিভাগ এই ঋণের প্রথম কিস্তি ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
ঋণের বাকি টাকা ২০২৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে দুটি কিস্তিতে—যথাক্রমে ৬০ কোটি ও ৫৫.৮৮ কোটি টাকা—বরাদ্দ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ঋণচুক্তি অনুযায়ী, ঋণের গ্রেস পিরিয়ড হবে তিন বছর। ঋণের অর্থ পরিশোধিত হবে ছয় মাসিক কিস্তিতে।
ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হবে গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৩ বছর। অর্থাৎ ঋণ নেওয়ার ৩ বছর পর পরবর্তী ১০ বছরে মোট ২০টি সমান কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।