মামলা নয়, সমঝোতার মাধ্যমে ১ শতাংশ খেলাপি ঋণ কমাতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা না করে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে ঋণ আদায় করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য একটি লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রত্যেক ব্যাংকের খেলাপি ঋণস্থিতির ন্যূনতম ১ শতাংশ নগদ আদায় এডিআরের মাধ্যমে করতে হবে।
এ নীতিমালা কার্যকরী করতে ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (১২ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩-এ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই আইন অনুসারে, আদালত রায় বা আদেশ প্রদানের আগে মামলার যেকোনো পর্যায়ে উভয় পক্ষ আদালতের অনুমতিক্রমে বিকল্প পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ আদায়ে গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বা সদিচ্ছাকে বিবেচনায় নিয়ে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ব্যাংকার ও গ্রাহক উভয়পক্ষের সম্মতিতে তালিকাভুক্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ মধ্যস্থতাকারী অথবা অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আইনজীবী, অথবা অন্য যেকোনো উপযুক্ত ব্যক্তি যাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সফলতার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে তাদেরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
খেলাপি ঋণ আদায়ে মধ্যস্থতাকারীকে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ ও যথাসময়ে তা পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।