করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখই থাকছে, সর্বোচ্চ কর বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ
করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাই থাকছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের মতো এবারের জাতীয় বাজেটেও সাড়ে ৩ লাখ টাকা করমুক্ত আয়ের সীমা প্রস্তাব করা হয়েছে।
নারী, প্রবীণ নাগরিক, শারীরিক প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য এবং গেজেটেড যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি।
বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ লাখ টাকা।
এছাড়া উচ্চ-আয়ের ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগৃহীত কর রাজস্ব বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ করের হার বর্তমানের ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ধনীদের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে পারবে বলে আশা করছে।
জনগণ ও অর্থনীতিকে করোনা মহামারির ধাক্কা থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ আয়কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম ধনীদের করের হার বাড়ানোর এনবিআরের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, করহার বাড়ানো খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। ওপরের স্ল্যাবে করহার বাড়ানো হলে যাদের আয় বেশি তাদের বেশি কর দিতে হবে, যা যৌক্তিক।
এর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ কর ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছিল।
ওই সময় কর নীতির দায়িত্বে ছিলেন আমিনুল করিম।
বর্তমানে এনবিআর পাঁচটি স্তরের আওতায় ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ করে। আগামী বছর থেকে তা হবে ছয়টি।
বর্তমানের ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের সঙ্গে ৩০ শতাংশের আরেকটি স্তর আসছে। বছরে আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।