বিএসইসি’র নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ
বিশিষ্ট ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা– বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর নতুন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
আজ রোববার (১৮ আগস্ট) তাঁকে এ দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফইডি)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
একইসঙ্গে এম মাসরুর রিয়াজকে বিএসইসি'র চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রজ্ঞাপন বাতিল করার কাজও চলছে বলে আজ রোববারে এফআইডি'র একাধিক কর্মকর্তা টিবিএসকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ ও বিদেশে ব্যাংকখাতে সুদীর্ঘ তিন দশক কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের। তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ছিলেন।
রাশেদ মাকসুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ সম্পন্ন করে ১৯৯২ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের এমডি এবং সাত বছর সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের এমডি ও সিটি কান্ট্রি অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
দীর্ঘ ৩২ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে রাশেদ মাকসুদ সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের করপোরেট ব্যাংকিং গ্রুপ, ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস গ্রুপ হেডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এর পরে ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ট্রানজেকশন প্রধানের দায়িত্ব পান। এছাড়া তিনি একই ব্যাংকের ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা অফিস এবং পরে বাংলাদেশ অফিসের এমডি ও সিটি কান্ট্রি অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন। রাশেদ মাকসুদ মাইডাস ফিন্যান্স লিমিটেড-বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টাও ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট বিএসইসি'র চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
গত ১৩ আগস্ট পলিসি এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজকে বিএসইসি'র চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁর এই নিয়োগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষ এবং বিএসইসির কর্মকর্তাদের একাংশ আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির মুখে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে কিছুটা সময় নেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে বিএসইসির কর্মকর্তারা তাঁদের আপত্তি প্রত্যাহার করেন।
নিয়োগের পর একটি পক্ষ সামাজিক মাধ্যমে মাসরুর রিয়াজের বিষয়ে কিছু প্রশ্ন তোলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তাঁর সখ্য। মূলত একটি ছবি কেন্দ্র করে এই প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর বিএসইসির একটি পক্ষও তাঁকে নিয়ে আপত্তি তোলে।