বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকে পড়েছে: শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি
বাংলাদেশের অর্থনীতির শ্বেতপত্রের খসড়ায় বলা হয়েছে, মধ্যম আয়ের প্রবৃদ্ধির ফাঁদ আর অদৃশ্য নয়, এটি এখন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বলেছে, আগের সরকারের আমলে কিছু প্রবৃদ্ধি হলেও, তা যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, আসলে পুরো বিষয়টি তেমন ছিল না।
আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কার্যালয়ে খসড়াটি জমা দিয়েছে জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
খসড়ায় সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কৌশলগুলোরও সমালোচনা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ''পুঁজি-নিবিড় ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) এবং ভারী শিল্প (যেমন ইস্পাত, সিমেন্ট) উন্নয়নের নীতি এবং 'উন্নয়নের মানদণ্ড' হিসেবে পরিচিত বড় বড় প্রকল্পগুলোর (যেমন: জ্বালানি ও পরিবহন খাতে মেগা প্রকল্প) নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যা ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং কৃষক অথবা শহরগুলোকে বাসযোগ্য করে তোলার বা সাধারণভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপর বিনিয়োগের গুরুত্বকে পাশ কাটিয়ে গেছে।''
আরও বলা হয়েছে, ''কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার দৃঢ় সংকল্পের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার এসব উন্নয়ন কৌশলের ভবিষ্যৎ পরিণাম সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করেনি। তাই আগের সরকার, সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীমহল ও শীর্ষ আমলারা গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতাকে পরোক্ষভাবে উপেক্ষা করেছে।''
মধ্যম আয়ের ফাঁদ
মধ্যম আয়ের যাত্রা অনেক বেশি দীর্ঘ হওয়ার কারণে একে ফাঁদ বলে মনে হয়। নিম্ন আয় থেকে যত তাড়াতাড়ি নিম্নমধ্যম আয়ে পৌঁছানো যায়, নিম্নমধ্যম আয় থেকে উচ্চ মাথাপিছু আয়ের সক্ষমতায় তত তাড়াতাড়ি পৌঁছা সম্ভব হয় না। তাই এটিকে মধ্যম আয়ের ফাঁদ বলা হয়ে থাকে।