বাণিজ্য মেলায় ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রে এন্ড্রয়েড এলইডি টেলিভিশন
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আকর্ষণীয় ডিজাইন ও ফিচারের এন্ড্রয়েড এলইডি টেলিভিশন এনেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডগুলো।
বিক্রেতারা জানান, এসব টিভির ব্যাপারে আগ্রহী ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে ।
ওয়ালটন, মিনিস্টার, স্যামসাং, কনকা, ভিশন, যমুনা, জেভিকো-সহ দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের স্টল ঘুরে দেখা গেছে ৯ হাজার ৮০০ টাকা থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের টেলিভিশন বিক্রি করছে কোম্পানিগুলো। মেলায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্টও দিচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। ক্রেতাদের জন্য ঘরে ঘরে ফ্রি ডেলিভারি ব্যবস্থাও রেখেছে কোম্পানিগুলো।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা জানান, টিভি দেখার পাশাপাশি ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ থাকায় এসব অ্যান্ড্রয়েড এলইডি টিভির বিক্রি বাড়ছে।
ওয়ালটনের কর্মকর্তা তানবীর মাহমুদ শুভ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, তারা এখন পর্যন্ত ২০টি টিভি সেট বিক্রি করেছেন, যার মধ্যে ১৯টিই অ্যান্ড্রয়েড টিভি।
এদিকে ৫৮ ইঞ্চি মনিটর সম্বলিত অ্যান্ড্রয়েড টিভির নতুন মডেল নিয়ে এসেছে মিনিস্টার, যার দাম এক লাখ ৬ হাজার ৪৫২টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এফএম মাহফুজুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "মেলায় অনেক দর্শনার্থী দেখে গেছে আমাদের টিভি। তবে ২০ জনের বেশি গ্রাহক জানিয়েছে তারা টিভি কিনবে।"
কনকা ১০ শতাংশ ছার দিচ্ছে মেলায়। বাজারে তারা নতুন ৬৫ ইঞ্চি মনিটরের একটি এন্ড্রয়েড টিভি নিয়ে এসেছে, যেটির দাম ৮৪ হাজার ৯৯০ টাকা।
এদিকে যমুনার স্টলে ৫৫ ইঞ্চি মনিটরের নতুন মডেলের এন্ড্রয়েড টিভি বিক্রি হচ্ছে ৯৮ হাজার টাকায়। আর ৩২ ইঞ্চির দাম ২৭ হাজার ৪০০ টাকা। এছাড়া এই কোম্পানির ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভির দাম ৩২ হাজার টাকা এবং ২০ ইঞ্চি এলইডি টিভির দাম ৯ হাজার ৮০০ টাকা।
মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশের (এমডব্লিউবি) এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের টিভির বাজারের ২৫-২৭ শতাংশ দখল করে আছে ওয়ালটন। আর স্যামসাং ১১, সিঙ্গার ৯ এবং সনি ৫ শতাংশ অংশ দখল করে আছে। দেশের টিভি বাজারের বাকি ২০ শতাংশ দখলে রয়েছে চীন থেকে আমদানি করা টিভিগুলোর।
২০২০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের বাজারের আকার ছিল ৬৩৬ মিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৫ সালে এটি বেড়ে দাঁড়াবে ৯৪০ মিলিয়ন ডলারে।