সংকোচনে ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যয় বাড়ছে জীবন যাত্রারও
কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, পণ্যের ঘাটতি, পণ্য পরিবহনে আকাশছোঁয়া শুল্ক, পরিবহন খরচের ঊর্ধ্বগতি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন – সব মিলিয়ে বেড়েছে আমদানি ও উৎপাদন খরচ।
কিন্তু, বাজারে প্রতিযোগীতা বজায় রাখার জন্য সবসময় ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নেওয়া সম্ভব হয়না কোম্পানিগুলোর। ফলে, লাভের সাথে আপস বা অনেক ক্ষেত্রেই লোকসান গুণতে হয় তাদেরকে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের শীর্ষ কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের কথা। ২০২১ সালের জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে পরবর্তী মুনাফা ৪২ শতাংশ কমে গেছে কোম্পানিটির।
কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, পণ্যের ঘাটতি, জাহাজভাড়া বৃদ্ধি, দেশে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামাল আমদানি খরচ ও উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় পণ্যের দাম বাড়ানো যায়নি। ফলে মুনাফা কমে গেছে।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মো. নাজিমুদ্দিন বলেন, "মার্চের পর কাঁচামালের দাম আরো বেড়েছে। কিন্তু প্রতিযোগীতার কারণে চাইলেই দাম বাড়ানো যায় না। ফলে সামনে মুনাফা আরো কমবে।"
এছাড়া, গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে বিক্রি ৭ শতাংশ কমেছে দেশের শীর্ষ মুঠোফোন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সামসাংয়ের। এই সময়ে মুনাফার পরিবর্তে লোকসান দেখেছে সামসাংয়ের ফোন ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের লোকাল ম্যানুফ্যাকচারার ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স।
ফেয়ার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, "গত ছয় মাসে সব ধরনের কাঁচামালের গড় দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ফ্রেইট চার্জ, ট্রান্সপোর্ট চার্জসহ অপারেশন চার্জ বেড়েছে কমপক্ষে ২৩ শতাংশ। কিন্তু এ সময় আমরা পণ্যের দাম বাড়াতে পারিনি।"
তিনি বলেন, "দীর্ঘমেয়াদে বাজারে টিকে থাকার জন্যই এখন প্রডাকশন অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। লোকসান দিয়ে বাজারে টিকে থাকছি আমরা।"
বৈশ্বিক ইনফ্লেশন অলিম্পিক কিংবা ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের মতোই ব্যবসা ও মুনাফা সংকুচিত করছে দেশের সব ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের। ব্যবসা ও মুনাফা কমে অস্থিরতা বিরাজ করছে হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ সব সেবা ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাতেও।
শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, গত ছয় মাসে নিত্যদিনের খাদ্যপণ্য, ফ্রোজেন ফুড, কসমেটিকস, প্লাস্টিক, সিমেন্ট, রড, সিরামিকস, পেইন্টস, ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশনসহ প্রায় সব পণ্য উৎপাদনের কাঁচামালের দাম ৩০-৩৫ শতাংশ বেড়েছে।
এক বছরের মধ্যে ফ্রেইট চার্জ ৮-১০ গুণ বেড়েছে। অন্যদিকে গত এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে অন্তত ১৬ শতাংশ। ফলে ব্যবসায় ব্যয় বেড়ে টিকে থাকতে সংগ্রাম করছেন উদ্যোক্তারা। মুনাফার পরবর্তী লোকসান গুণছে কোনো কোনো খাতের ব্যবসায়ীরা।
গত বাজেটে বিভিন্ন সেক্টরে দেওয়া করছাড় এবং সরকারের প্রণোদনায় বিদ্যমান সংকট থেকে ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাড়াতে পারছেন বলেও দাবি করেন উদ্যোক্তারা ।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, কোনো খাতেই কাঁচামাল ও ফ্রেইট ব্যয় বৃদ্ধির তুলনায় পণ্যের দাম বাড়ানো যায়নি। ইনফ্লেশন ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার ধাক্কা সরকারের প্রণোদনার চেয়ে বড়। ফলে ব্যবসায় টিকে থাকাই কঠিন।"
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, খাদ্য, আটা-ময়দা, চালসহ নিত্যপণ্য, ইলেকট্রনিক্স-প্লাস্টিকসহ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফাস্ট মুভিং কনজিউমার প্রডাক্ট এবং পশুখাদ্যসহ দেশের ব্যবসার প্রায় সব সেক্টরে ৫০টি মতো কোম্পানি রয়েছে এসিআই লিমিটেডের। বৈশ্বিক ইনফ্লেশন বিপাকে ফেলেছে এসিআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠানকেও।
এসিআই এগ্রিবিজনেসের সভাপতি ড. এফ. এইচ. আনসারী বলেন, "ব্যবসার কোনো ইউনিটেই স্বত্তি নেই। সব সেক্টরে প্রফিট মার্জিন এটলিস্ট ৫-৭ শতাংশ করে কমাতে হয়েছে। কিন্তু সেক্টরে লোকসানও হচ্ছে। তবে মার্কেটে ব্র্যান্ড টিকিয়ে রাখা এবং কারখানার সক্ষমতা চালু রাখার স্বার্থে অপারেশন চালাতে হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় পণ্যের দাম বাড়ানো যায়নি প্রধানত প্রতিযোগীতার কারণে। দ্বিতীয়ত, সে তুলনায় ব্যয় বাড়ালে তা কনজিউমারদের ওপর অনেক বেশি প্রেশার তৈরি করতো। তাতে মানুষ কনজিউম কমিয়ে দিলে দীর্ঘমেয়াদে তা ইন্ডাস্ট্রির ওপরই প্রভাব ফেলবে।"
এক মাসে রড-সিমেন্টে বিক্রি কমেছে ১৭-২০ শতাংশ
দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির বড় প্রভাব পড়েছে সব রড-সিমেন্ট, সিরামিকস, পেইন্টসসহ সব নির্মাণ সামগ্রীর ওপর। দাম বৃদ্ধির কারণে বিক্রি কমেছে এসব পণ্যের। এপ্রিল মাসে সিমেন্টের বিক্রি ২০২১ সালের একই মাসের তুলনায় অন্তত ১৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে রড ও সিরামিকস টাইলসের বিক্রি কমেছে ২০-২৫ শতাংশ।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আমিরুল হক জানান, গত ছয় মাসে ক্লিংকারসহ সব কাঁচামালের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সিমেন্টের দাম বস্তা প্রতি ৮০ টাকা বা ১০-১২ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। এতে একদিকে বিক্রি কমে গেছে। অন্যদিকে মুনাফাও কমে লোকসান গুণতে হচ্ছে উৎপাদকদের।
গোল্ডেন ইস্পাতের পরিচালক সরোয়ার আলম বলেন, "২০২০ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় দেড় বছরে রডের স্ক্র্যাপের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দেশের বাজারে আমরা ৫০-৬০ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে। তবুও বিক্রি অনেক কমে গেছে। গত দুই মাসেই ব্যক্তিখাতে রডের বিক্রি ৮০-৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। কিছু সরকারি প্রকল্পে বিক্রির কারণে কোম্পানিগুলো টিকে আছে।"
সেমিকন্ডাক্টর সংকটে বিপাকে ইলেকট্রনিক্স খাত
সেমিকন্ডাক্টর চিপ বা মাইক্রোচিপ নামে পরিচিত। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইসে এটি ব্যবহার করা হয়। চায়ের কেটলি, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে মোবাইল-হেডফোন, কম্পিউটার, অটোমোবাইল ও যুদ্ধবিমানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায়ও চিপ ব্যবহৃত হয়।
সারা বিশ্বে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি সেমিকন্ডাক্টরের চাহিদাও বহুগুণে বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই তুলনায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন হচ্ছে না।
স্থানীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, গত ছয় মাসে বৈশ্বিক বাজারে সেমিকন্ডাক্টরের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে কমপ্রেসারসহ নানা কাঁচামালের দাম বেড়েছে ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত।
যদিও ওয়ালটন, প্যানাসিক, এলজি, হায়ারসহ কয়েকটি কোম্পানি রেফ্রিজেটার, ওয়াশিং মেশিন ও এয়ার কন্ডিশনারের মত ইলেকট্রনিক্স জিনিসের দাম ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। তবুও নিজেদের প্রফিট মার্জিনে বড় ছাড় দিতে হয়েছে বলে দাবি তাদের। ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে আরো দাম বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
ওয়ালটন ফ্রিজের সিইও আনিস মল্লিক বলেন, "বৈশ্বিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়লেও আমরা শুরুতে পণ্যের দাম বাড়াইনি। তবে লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে সম্প্রতি কিছু পণ্যের দাম বাড়াতে হয়েছে। তবুও আমরা উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় দাম কমাতে পারিনি।"
ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের মেসবাহ উদ্দিন বলেন, "মোবাইল, ফ্রিজসহ সব হোম অ্যাপ্লায়েন্সে সেমিকন্ডাক্টারের ব্যবহার করতে হয়। বৈশ্বিক সংকটের কারণে দাম অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তবে দেশের বাজারে আমরা এখনো বাড়াতে পারিনি। লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রি করছি। শিগগিরই দাম সমন্বয় করতে হবে।"
প্রফিট মার্জিন কমিয়ে ব্যবসা করছে খাদ্য উৎপাদকরা
কাঁচামালের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে গভীর সংকটে বেকারি ব্যবসা। অলিম্পিকের মতো বড় কোম্পানিগুলো প্রফিট মার্জিন কমিয়ে ক্রেতা ধরে রেখেছে। তবে সেলস ও প্রফিট উভয় কমছে ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর।
অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বিস্কুট, নুডুলস, পাস্তা, চানাচুর, আইসক্রিম ও ফ্রোজেন ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করা অন্তত ১০ হাজার উদ্যোক্তা।
বাংলাদেশ অটো বিস্কুট ও রুটি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি জনাব মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়া জানান, কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান ১০-১২ শতাংশ দাম বাড়িয়ে পণ্য উৎপাদন করছে। তবুও তাদের প্রফিট মার্জিন অনেক কমেছে। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে লোকসান গুণছে।
গত এক বছরের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও পণ্যের দামের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, "এক বছর আগে পাম তেলের কেজি ছিল ৫৭ টাকা, এখন ১৫৫ টাকা। ডালডা কেজি ছিল ১০০ টাকা, এখন ১৭৩ টাকা। চিনির দাম ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ৭৬ টাকা হয়েছে। ময়দা কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা; আগে ছিল ৩২ টাকা এখন ৪৭ টাকা কেজি।"
এছাড়া খাবার সোডা, রংসহ অন্যান্য মসলার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। কারখানার ব্যবস্থাপনা বিলও বেড়েছে। গ্যাস বিল, পানি বিল, বিদ্যুৎ বিলও বেড়েছে।
দেশের খাদ্যপণ্যের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) চৌধুরী কামরুজ্জামান কামাল বলেন, "গত এক বছরে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ হলেও পণ্যের দাম সে অনুপাতে বাড়ানো সম্ভব হয়নি। আগে একটি রুটি তৈরিতে যে খরচ হতো এখন তার দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে। কিন্তু আমরা দাম বাড়াতে পেরেছি ১০-২০ শতাংশ।"
"দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এবং আমাদের বাজার প্রতিযোগীতার কারণে হঠাৎ করেই দাম বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে আমরা এখন টিকে থাকার জন্যই উৎপাদন ও বিপণন করছি," যোগ করেন তিনি।
ব্যবসায় মার্জিন কমছে ৪০ লাখ রিটেইলারের
রাজধানীর ইস্কাটনে ভাই ভাই স্টোরে একটি শীর্ষ ব্র্যান্ডের সাবান, শ্যাম্পু, বিউটি ক্রিমসহ কনজিউমার প্রোডাক্ট বিক্রি করেন আমজাদ হোসেন। ঈদের পর পণ্যের গায়ে দেওয়া রেট থেকে রিটেইলারের প্রফিট মার্জিন ৩ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানি।
আমজাদ হোসেন বলেন, "ঈদের আগে পণ্যের গায়ের দামের ওপর ১২ শতাংশ কমিশন দিয়েছে। এখন তা কমিয়ে ৯ শতাংশ দিচ্ছে। ফলে ব্যবসা কমে গেছে।"
নুডলস, চানাচুর, পাউরুটি, পাস্তা, গুঁড়ো দুধ, প্লাস্টিক, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের মতো পণ্যেও কমিশন কমছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মগবাজারে ভর্তা-ভাত রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, "ঈদের পর পরোটা, নান রুটি, গরু, খাসি, মাছসহ কিছু খাবারের দাম ১০-১২ শতাংশ বাড়িয়েছি। তবে খরচ এর চেয়ে অনেক বেড়েছে। এখন মুনাফা আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক কমে গেছে।"
সব জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি ভাই ভাই স্টোর কিংবা ভর্তা-ভাত রেস্টুরেন্টের মতোই সারাদেশের ৪০ লাখ খুচরা ব্যবসায়ীর ব্যবসায় মার্জিন কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
চাপ বাড়ছে ভোক্তার ওপর
বর্তমানে এক কেজি গুঁড়া সাবান, থালাবাসন ধোয়ার জন্য আধা লিটার তরল সাবান, একটি সুগন্ধি সাবান, এক বোতল শ্যাম্পু ও টুথপেস্ট কিনতে গেলে ব্যয় হবে ৫৫৭ টাকা, যা ঈদের আগের তুলনায় ৫০ টাকা বেশি। অর্থাৎ এই কয়েকটি পণ্য কেনার পেছনে আপনার আগের বাজেটের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি ব্যয় করতে হবে।
চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ, মাছ, ডিম, মাংস, দুধসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে প্রতিদিনিই।
অন্যদিকে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ ভারি পণ্যে অস্থিরতা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তার ওপর আরো চাপ বাড়াবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ডক্টর এম এ রাজ্জাক টিবিএসকে বলেন, "আমাদের মুদ্রাস্ফীতি এখনও ব্যবসায়িক খরচের তুলনায় কম। এটা ভোক্তাদের জন্য ভালো কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হবে না।"
সুতরাং, ডলার সংকট প্রশমিত করার জন্য, সরকারের উচিত অপ্রয়োজনীয় আমদানির উপর লাগাম টানা এবং যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে আরও বেশি রেমিট্যান্স প্রবাহ নিশ্চিত করা, উল্লেখ করেন তিনি।
অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়িক খরচ কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলেও যোগ করেন এম এ রাজ্জাক।