১০ মিলিয়ন টনের বেশি চিনি রপ্তানি করবে না ভারত
৬ বছরে প্রথমবারের মতো চিনি রপ্তানি সীমিতকরণের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। চলতি মৌসুমে ১০ মিলিয়ন টনের বেশি চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। দেশের বাজারে উচ্চমূল্য রোধ করতেই ভারতের এমন সিদ্ধান্ত। খবর রয়টার্সের।
সরকারি আদেশে রপ্তানিকারকদের ১ জুন থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিদেশে চালানের জন্য অনুমতি নিতে বলা হয়েছে।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী এবং ব্রাজিলের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ।
চলতি বছরের মার্চে রয়টার্স জানায়, স্থানীয় দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে চিনি রপ্তানি কমানোর পরিকল্পনা করছে ভারত।
ভারতের এ পরিকল্পনার কথা চাউর হতেই লন্ডনে সাদা চিনির দাম ১ শতাংশের ওপর বৃদ্ধি পায়।
একটি গ্লোবাল ট্রেডিং ফার্মের মুম্বাই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, "সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। উৎসবের মৌসুমে দেশে যেন পর্যাপ্ত চিনির মজুত থাকে, সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টাই চলছে।"
শুরুতে ভারত ৮ মিলিয়ন টনের বেশি চিনি রপ্তানি না করার কথা ভাবছিল। কিন্তু পরে উৎপাদনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী বিবেচনা করে, সরকার কারখানাগুলোকে আরও কিছু চিনি বিক্রি করার অনুমতি দেয়।
ভারতের চিনি উৎপাদনকারী ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তাদের এবারের উৎপাদন হতে পারে ৩৫.৫ মিলিয়ন টন; যা তাদের আগের অনুমান (৩১ মিলিয়ন টন) থেকে বেশি।
ভারতীয় চিনিকলগুলো সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই চলতি ২০২১-২২ সালে ৯.১ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানির চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিবদ্ধ ৯ মিলিয়ন টনের মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রায় ৮.২ মিলিয়ন টন চিনি রপ্তানি করা হয়েছে।