আগামী অর্থবছর থেকে চালু হবে সার্বজনীন পেনশন
আগামী অর্থবছরের জুলাইয়ে চালু হবে সার্বজনীন পেনশন স্কিম। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এর সুবিধা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে সরকার কর্তৃক প্রণীত জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রে একটি ব্যাপকভিত্তিক সমন্বিত অংশগ্রহণমূলক পেনশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছিল। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় আমি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি যে, সরকার আগামী অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে বয়োজেষ্ঠ জনসংখ্যার তুলনায় কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি থাকায়- এটাই সার্বজনীন পেনশন চালুর উপযুক্ত সময় বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
'সরকার বয়স্ক ও দুঃস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় সামাজিক সুরক্ষাকল্পে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ সুবিধাভোগীকে সহায়তা দিচ্ছে। সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারকে বিবেচনায় নিয়ে বয়স্ক ও দুঃস্থ জনসাধারণের জন্য একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করার জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২২' প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আইনের খসড়াও ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০২২ সালের মধ্যেই উল্লিখিত আইনটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।'
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে। ফলে, ভবিষ্যতে বর্তমানে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম ধীরে ধীরে সংকুচিত করে আনার সুযোগ সৃষ্টি হবে'- যোগ করেন মুস্তফা কামাল।