আবারও ক্ষমতায় ট্রুডো, তবে মিলছে না সংখ্যাগরিষ্ঠতা
কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তৃতীয় মেয়াদে আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়তো ধরে রাখতে পারছেন না। ১৫৬ টি আসনে এগিয়ে ছিল ট্রুডোর দল লিবারেল। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৭০ টি আসনে জিততে হতো।
বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা উঠে এসেছিল, ক্ষমতায় ফিরতে চলেছেন ট্রুডো। নির্বাচনের ফল প্রকাশের প্রাথমিক ট্রেন্ডেও সেই আভাস মিলতে থাকে। প্রাথমিকভাবে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছিল, কানাডার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কক্ষ তথা হাউন্স অফ কমন্সে (ভারতের লোকসভার মতো) ৩৩৮ টি আসনের মধ্যে ১৩৯ টিতে এগিয়ে আছে ট্রুডোর দল লিবারেল। এখনও ভোটগণনা অনেকটাই বাকি আছে।
আপাতত ১৫৬ টি আসনে এগিয়ে আছে ট্রুডোর দল লিবারেল। ১২৩ টি আসনে কনজারভেটিস এগিয়ে আছে। এমনিতে হাউন্স অফ কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭০ টি আসনের প্রয়োজন হয়।
২০১৫ সালে প্রথমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন ট্রুডো। এবারও নির্বাচিত হয়ে সে দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ৪৯ বছরের ছেলে। এবার কানাডার ফেডারেল ভোটের প্রচারে অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। পুরোপুরি টিকাদান হয়ে যাওয়ার দৌড়ে আছে কানাডা। যা ট্রুডো সরকারের বড় কৃতিত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু ট্রুডোদের বিরোধী দল কনজারভেটিভের বক্তব্য ছিল, দলের প্রার্থীরা টিকা না নিলেও চলবে। কতজন টিকা নেননি, তাও জানানো হবে না। কনজারভেটিভের নেতা এরিন ও'টুলে দাবি করেছিলেন, টিকা কেউ নেবেন কিনা, তা একান্ত তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
কিন্তু এরিনের সেই মন্তব্য ভালোভাবে নেননি কানাডাবাসী। বরং যারা করোনা টিকা নিতে অস্বীকার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হয়। ঠিক সেখানেই সুযোগ পেয়েছেন ট্রুডো। তিনি প্রথম থেকেই ট্রেন বা বিমানে যাতায়াতের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার পক্ষে কথা বলে এসেছেন।