আবারও সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড
এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মত বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেল ফিনল্যান্ড। শুক্রবার (১৯ মার্চ) জাতিসংঘের এক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
'ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট' শীর্ষক এ তালিকায় ফিনল্যান্ডের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। পরের তিনটি স্থানে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড।
এক ধাপ নিচে নেমে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান নবম স্থানে। শীর্ষ দশের মধ্যে তারাই একমাত্র নন-ইউরোপীয় দেশ। যুক্তরাজ্যের অবস্থান ১৭ তে।
বিশ্বের ১৪৯টি দেশে এ জরিপ চালানো হয়; নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কতটুকু সুখে আছেন তারা!
এর পাশাপাশি সামাজিক সমর্থন, ব্যক্তি স্বাধীনতা, জিডিপি এবং দুর্নীতির মাত্রাও জরিপের ক্ষেত্রে গণনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। এরপরেই আছে লেসোথো, বতসোয়ানা, রুয়ান্ডা এবং জিম্বাবুয়ের নাম।
জরিপ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশেই এবার মহামারীর প্রভাব দেখা গেছে।
তবে এই মহামারীর মধ্যেও ২২টি দেশ নিজেদের স্থান ধরে রাখতে পেরেছে। এমনকি এশিয়ার কিছু দেশ আগের চাইতে এগিয়েছে তালিকায়; চীন দশ ধাপ পিছিয়ে ৮৪তম থেকে ৯৪ তম স্থানে ঠেকেছে।
জরিপের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল এক বিবৃতিতে জানান, "আশ্চর্যজনকভাবে মানুষের ভালো থাকার গড় হিসাবে তেমন কোন নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়নি"।
তিনি বলেন, "এর একটি সম্ভাব্য কারণ বোধহয় এই যে, মানুষ মহামারিকে সবার জন্যই সাধারণ, বাহ্যিক হুমকি হিসেবে দেখেছে। সবার ভেতর দিয়ে একই রকম অনুভূতি কাজ করেছে ফলে বিশ্বজুড়ে একধরনের সংহতির বোধ তৈরি হয়েছে"।
ফিনল্যান্ডে ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও তার প্রভাব ছিল ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, ৫৫ লাখ জনসংখ্যার নর্ডিক রাষ্ট্রটিতে মাত্র ৭০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন, ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুবরণ করেন ৮০৫ জন।
সূত্র-বিবিসি