ইউরোপে কি করোনার চতুর্থ ঢেউ আঘাত হানছে? পূর্ণ লকডাউনে অস্ট্রিয়া
জার্মানি, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে পৌঁছেছে। সংক্রমণ হার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রিয়া। এর সাথে টিকা নেওয়াকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে মধ্য ইউরোপের দেশটি।
আজ শুক্রবার দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ জানান, এই লকডাউন সর্বোচ্চ ২০ দিন স্থায়ী হবে। এছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে টিকা নেওয়া দেশের সব নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে, গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় গত সোমবার থেকে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের উপর লকডাউন জারি করা হয়েছে। জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রও একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে।
বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ড দেশের জনগণকে বাসায় থেকে অফিস করার নির্দেশনা দিয়েছে ।
অস্ট্রিয়ার বর্তমান এই কোভিড সংকটের জন্য টিকা-বিরোধীদের দায়ী করেন চ্যান্সেলর। তিনি বলেন, "টিকা-বিরোধীদের অপপ্রচারের জন্যই আমাদের মধ্যে অনেকে টিকা নিচ্ছে না। যে কারণে হাসপাতালগুলো এখন সব ভরে গেছে, এবং মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।"
অস্ট্রিয়ার ৬৬ শতাংশ জনসংখ্যা সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত, যা ইউরোপের সর্বনিম্ন হারগুলোর মধ্যে একটি। এদিকে জনসংখ্যার অনুপাতে অস্ট্রিয়ায় সংক্রমণের হার এ মুহূর্তে ইউরোপে সর্বোচ্চ।
যে কারণে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে সবার জন্যই টিকা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বের অনেক দেশেই স্বাস্থ্যকর্মী ও আরও কিছু পেশার জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও এখন পর্যন্ত সবার জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করেছে মাত্র তিনটি দেশ। ইন্দোনেশিয়া, মাইক্রোনেশিয়া ও তুর্কমেনিস্তান।