এনএসও-এর সাথে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই: ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিতর্কিত এনএসও গ্রুপের সাথে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানালেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াইর ল্যাপিড। সম্প্রতি, এনএসও গ্রুপকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফোন হ্যাকিং স্পাইওয়্যার 'পেগাসাস' অপব্যবহারের অভিযোগে আনা হয় এই গ্রুপের বিরুদ্ধে।
এবছরের জুলাইয়ে ১৭ টি গণমাধ্যম সংস্থার একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। রিপোর্টে বলা হয়, এনএসও-এর পেগাসাস সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক, অধিকারকর্মী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের স্মার্টফোন হ্যাক করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সের অধীনে থেকে এনএসও বিদেশে তাদের পণ্য রপ্তানি করে। কোম্পানির বিরুদ্ধে পেগাসাস অপব্যবহারের অভিযোগের পর এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, এ তদন্তের কোনো ফলাফল এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। তাছাড়া, এনএসও গ্রুপের রপ্তানির সুযোগ সীমিত করার বিষয়েও কোনো ইঙ্গিত দেয়নি ইসরায়েল।
জেরুজালেমে একটি সংবাদ সম্মেলনে ল্যাপিড বলেন, "এনএসও একটি বেসরকারি কোম্পানি। এটি কোনো সরকারি প্রকল্প নয়। ফলে, কোম্পানিটি কালো তালিকাভুক্ত হলেও, ইসরায়েলি সরকারের নীতির সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বিশ্বের অন্য কোন দেশে সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে এতো কঠোর নিয়ম রয়েছে, তা মনে করি না আমি।"
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) এনএসও গ্রুপকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাজ্য। এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের কোনো সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন ল্যাপিড।
এর আগে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ এবং ক্যান্ডিরুর বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদী শাসনের কাছে হ্যাকিং সরঞ্জাম বিক্রির অভিযোগ আনা হয়। তবে এনএসও জানিয়েছিল, এটি শুধুমাত্র আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করে এবং এর অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।
এনএসও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে তারা 'হতাশ'। কোম্পানিটি আরও জানায়, তাদের পণ্য অপব্যবহারকারী সরকারী সংস্থাগুলোর সাথে চুক্তি শেষ করেছে তারা। কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানিটির পণ্য রপ্তানি সীমিত করা হবে।
স্পাইওয়্যার সংশ্লিষ্টতার উল্লেখ করে ইসরায়েল, রাশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের চারটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো হলো- ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপ এবং ক্যান্ডিরু, রাশিয়ার সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম পজিটিভ টেকনোলজিস এবং সিঙ্গাপুরের কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ কনসালটেন্সি পিটিই লিমিটেড।
সূত্র: রয়টার্স