ক্যু’ পরবর্তীকালে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে শঙ্কিত জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক
মিয়ানমারে এখনও রয়েছেন ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। সামরিক অভ্যুত্থানের পর তাদের উপর নির্যাতন চরম আকার ধারণ করার আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। তাই আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সামরিক অভ্যুত্থান, মানবাধিকার ও রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার মতো ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
সোমবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর জাতিসংঘের এক মুখপাত্র এসব কথা জানান। এদিন সকাল বেলা স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি'সহ তার দলের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্মম অভিযানের মুখে ৭ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। এদেশের শরনার্থী শিবিরই এখন তাদের আবাসস্থল। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেস-সহ প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশের সরকার এই ঘটনায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে 'জাতিগত শুদ্ধি'র অভিযোগ আনে। তবে দেশটি বরাবর একে মিথ্যে দাবি বলে অস্বীকার করে।
জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেন, "রাখাইন রাজ্যে ৬ লাখ রোহিঙ্গা রয়ে গেছে। এদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ডিটেনশন শিবিরে বন্দি। তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না এবং চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো প্রয়োজনীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত।"
"তাই আমাদের আশঙ্কা চলমান ঘটনাপ্রবাহ তাদেরকে আরও হুমকির দিকে ঠেলে দেবে," তিনি যোগ করেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আজ বাংলাদেশ সময় রাতে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় অংশ নেবে।
জাতিসঙ্ঘে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, "আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে দীর্ঘমেয়াদে ফেলা হুমকিগুলো মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করব। একইসঙ্গে, মিয়ানমার এবং আসিয়ান ভুক্ত দেশটির প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে সঙ্কট সমাধানের চেষ্টা চালানো হবে।" বারবারা ফেব্রুয়ারি মাসের জন্যে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
- সূত্র: রয়টার্স