গাড়ি ও হেলিকপ্টার ভর্তি নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি: রাশিয়া
গত রোববার (১৫ আগস্ট) তালেবানরা রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করার মুহূর্তে দেশ ছেড়ে চলে যান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। কাবুলে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বলেছে, যাওয়ার সময় চারটি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার ভর্তি নগদ অর্থ নিয়ে গেছেন তিনি। আরও টাকাকড়ি নিতে চাইলেও বাহনে জায়গা স্বল্পতায় তা আর সম্ভব হয়নি।
রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া এজেন্সি দূতাবাসের বরাত দিয়ে সোমবার (১৬ আগস্ট) এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
রিয়া এজেন্সি রুশ দূতাবাসের একজন মুখপাত্র নিকিতা ইসচেঙ্কো'কে উদ্ধৃত করে, "বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা সাবেক শাসকগোষ্ঠীর রাতারাতি পতনকে আশরাফ ঘানির পলায়নের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভালো করে ব্যাখ্যা করা যায়। তিনি চারটি গাড়ি ভর্তি নগদ অর্থ নিয়ে গেছেন। হেলিকপ্টারেও টাকাভর্তি একটি বড় ব্যাগ নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জায়গা সঙ্কটের কারণে পারেননি। এমনকি কিছু অর্থ বিমানবন্দরের টারম্যাকেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল"।
ইসচেঙ্কো তাঁর মন্তব্যের বিষয়টি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকেও নিশ্চিত করেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, এ তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।
এর আগে আফগানিস্তানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলভ সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, পালিয়ে যাওয়া কর্মকর্তারা সরকারি কোষাগারের বড় অংশই হয়তো সাথে নিয়ে যাচ্ছেন।
মস্কোর ইখো মস্কোভি রেডিও স্টেশনকে তিনি বলেন, "আমি আশা করি, কর্মকর্তারা জাতীয় কোষাগারের সব অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাননি। কিছু অর্থ থাকলে তা দিয়ে নতুন প্রশাসন খরচ মেটাতে পারবে।"
এদিকে কাবুলে নিজেদের কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে রাশিয়া। দূতাবাস সচল রাখলেও তালেবান সরকারকে আফগানিস্তানের ন্যায্য কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে মস্কো। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, তালেবানের আচরণ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের পর স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ভাবা হবে।
আশরাফ ঘানি এখন কোন দেশে অবস্থান করছেন তা এখনও জানা যায়নি। রোববার তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ শান্তি আলোচক আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ জানান, তিনি প্রতিবেশী তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন।
তবে ঘানি জানিয়েছেন, তিনি কাবুলকে রক্তপাত ও সহিংসতার হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন।
- সূত্র: রয়টার্স