এ বছর হজে অংশ নিচ্ছে না চার এশীয় দেশ
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হজ পালন। তবে চলতি বছরের হজযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার চারটি দেশ; ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনেইয়ের হাজিরা।
এই চারটি দেশের সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ হজ মিশন কাউন্সিলর মাকসুদুর রহমান। এই ব্যাপারে সৌদি সরকারসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে দেশগুলো সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে, বলেও জানান তিনি।
মাকসুদুর রহমান বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সৌদি আরবের সরকার বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় এ জমায়েতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে- আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াও হজে যোগ দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে পারে।
এদিকে ব্রুনেই সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত জানা গেছে স্থানীয় দৈনিক বোর্নিও বুলেটিন সূত্রে।
দৈনিকটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত সৌদি সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে হজযাত্রীরা নিবন্ধনের পরেও তা বাতিল করে দিয়েছে ব্রুনেইয়ের কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি, মালয়েশিয়ার প্রধান হজ কাউন্সিলার মোহাম্মদ শায়েমি জানান, চলতি বছর তার দেশ থেকেও কেউ হজ পালনে যাচ্ছেন না।
এদিকে মূল হজ অনুষ্ঠানের সময় আর বেশি নেই, আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকেই হজ পালিত হওয়ার কথা। কিন্তু, চলমান করোনাভাইরাসের মহামারি সৌদি সরকারকে দ্বিধায় ফেলেছে। হজ থেকে গত বছর ১২শ কোটি ডলার আয় করে সৌদি আরব। তেলের বাজার মন্দা থাকায় চলতি বছর সীমিত আকারে সৌদি সরকার হজ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর আগে বিশ্বস্ত কিছু সূত্রের বরাতে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
'অংশ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত বাংলাদেশ'
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বার্তা সংস্থা ইউএনবি'কে জানান, সৌদি আরব তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানালে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হজের ব্যাপারে তার মন্ত্রণালয় 'সম্পূর্ণ প্রস্তুত' রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলতি বছর এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক হজ পালনে যাবেন। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ১৯৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী নানা বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপনায় হজ করবেন।
এদের মধ্যে ইতোমধ্যেই নিবন্ধন করেছেন ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন। তিন হাজার ৪৫৭ জন নিবন্ধন করেছেন সরকারি ব্যবস্থাপনায় ও বাকি ৬১ হাজার ৫৯৪ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেন।
বেশ কয়েকবার মেয়াদ বৃদ্ধির পর গত ৩০ এপ্রিলই ছিল নিবন্ধনের সর্বশেষ তারিখ।