চিপ সংকটের মুখে আইফোন ১৩ উৎপাদন কমাতে পারে অ্যাপল
বিশ্বব্যাপী চিপ সংকটের কারণে আইফোন ১৩ উৎপাদন কমাচ্ছে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। এ সিদ্ধান্তের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, অ্যাপল তাদের আইফোনের সর্বশেষ মডেলটির প্রায় ১ কোটি ইউনিট কম উৎপাদন করবে।
চলতি বছরের শেষার্ধের মধ্যেই আইফোন ১৩-এর ৯ কোটি ইউনিট উৎপাদনের কথা ছিল অ্যাপলের। কিন্তু ব্রডকম ইনকরপোরেশন ও টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টসসহ আরও কিছু চিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফোনটি তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আইফোন ১৩-এর উৎপাদন কমাতে হবে অ্যাপলকে।
এদিকে আইফোন ১৩ উৎপাদন কমানোর খবর প্রকাশের পরপরই অ্যাপলের শেয়ারে দরপতন হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস ও ব্রডকম, দুটি প্রতিষ্ঠানেরই ১ শতাংশ শেয়ার নিচে নেমে গেছে।
তবে এ ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অ্যাপল। ব্রডকম ও টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস-এর কাছ থেকেও কোনো সাড়া পায়নি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত জুলাইয়েই চিপ সংকট ও রাজস্ব আয় কমতে থাকার পূর্বাভাস দেয় অ্যাপল। এরই মধ্যে চিপ সংকটের কারণে অ্যাপলের ম্যাকবুক ও আইপ্যাড বিক্রিতেও বিঘ্ন ঘটেছে। এবার তা বহুল জনপ্রিয় পণ্য, আইফোনের উৎপাদনেও প্রভাব ফেলবে। ওই সময় টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টসও বছরের বাকি সময়টা চিপ সংকটে ভোগার আভাস দিয়েছিল।
বিশ্বব্যাপী চিপ সংকটের কারণে অটোমোবাইল থেকে ধরে ইলেকট্রনিকস শিল্প পর্যন্ত প্রচন্ড চাপের মুখে পড়েছে। সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান।
এতদিন যাবত চিপ বিক্রেতাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ও নিজেদের দৃঢ় ক্রয়ক্ষমতার সুবাদে, অন্যদের চাইতে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল অ্যাপল। তাই বিশ্লেষকদের ধারণা ছিল, ভোক্তাদের ফাইভজি নেটওয়ার্কে উন্নীত হওয়ার প্রতি আগ্রহের কারণে আইফোন ১৩-এর বিক্রি অনেক বেড়ে যাবে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ-এর গবেষণা পরিচালক, জেফ ফিল্ডহ্যাকের মতে, আইফোন ১৩ মডেলের ফোনগুলো গত বছরের আইফোন ১২-এর চাইতে ভালো। কাউন্টারপয়েন্টে'র আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, বছরের শেষ তিন মাসে ৮৫-৯০ মিলিয়ন 'আইফোন ১৩' বিক্রি হবে।
- সূত্র: রয়টার্স