চীনের সমালোচনা করে তোপের মুখে ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচ অ্যান্ড এম, নাইকি
চীনের জিংঝিয়াং প্রদেশে তুলা উৎপাদন কাজে উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষদের জোরপূর্বক বাধ্য করা প্রসঙ্গে উদ্বেগ জানানোয় তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েছে বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচ অ্যান্ড এম ও নাইকি।
বহু চীনা নাগরিক ইতিমধ্যেই ফ্যাশন ব্র্যান্ড দুটিকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন এবং তারকারা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মও এইচ অ্যান্ড এম কে বাদ দিয়ে দিয়েছে বলে বিবিসি সূত্রে জানা যায়।
এ সপ্তাহেই জিনঝিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের বিষয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বেশকিছু পশ্চিমা দেশ চীনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পত্তি আটকানো। চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিনিয়র অফিসারদের উপর নজরদারির উদ্দেশ্যও রয়েছে এখানে।
দুটি আলাদা বিবৃতিতে দুই কোম্পানি জানায় যে জিনঝিয়াং এ উইঘুরদের তুলা তোলার কাজে বাধ্য করার বিষয়টি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন এবং এ অঞ্চল থেকে তারা নিজেদের পণ্য আনবেন না।
কিন্তু এই উন্মাদনার আগুনে ঘি ঢেলেছে চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির অঙ্গসংগঠন 'কম্যুনিস্ট ইউথ লীগ' এর সাম্প্রতিক এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।
বুধবার এইচ অ্যান্ড এম এর বিবৃতির স্ক্রিনশট শেয়ার করে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবো তে এক পোস্টে ওই দলটি লিখে, "জিনঝিয়াং এর তুলাকে বয়কট করে আবার চীন থেকেই টাকা আয় করতে চাও? বেশ দারুণ চিন্তা!"
চীনে সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া আউটলেটগুলোও জিনঝিয়াং এর তুলা উৎপাদনের পক্ষে প্রচারের জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। সেই সাথে তারা ব্র্যান্ডগুলোর সমালোচনার কাজটিও পুরোদমে করে যাচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়া সিজিটিএন ওয়েইবো তে একটি ভিডিও শেয়ার করে সেখানকার আসল চিত্র দেখাতে চেয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় সেখানে অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং একজন উইঘুর কৃষক বলেছেন, "এখানে বেশি উপার্জনের জন্য কাজ পেতে রীতিমত যুদ্ধ করেছে মানুষ।"
চীনা স্টেট ব্রডকাস্টার সিসিটিভি জানায়, এইচ অ্যান্ড এম 'ন্যায়নিষ্ঠ হিরো' সাজবার জন্যেই চীনের বিরুদ্ধে এমন ভুল মন্তব্য করেছে এবং তাদেরকে অবশ্যই এই কাজের চরম মূল্য দিতে হবে।