ডিসেম্বরেই ইতালিতে হানা দিয়েছিল করোনাভাইরাস: গবেষণা
সরকারিভাবে ঘোষণা দেওয়ার অন্তত মাসদু'য়েক আগেই ইতালির মিলান এবং তুরিনের মতো বড় দুটি শহরে হানা দিয়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর কোভিড-১৯ মহামারি আকার ধারণ করলে ইতালিতে মোট ৩৪ হাজার প্রাণহানি ঘটে।
দেশটির ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউড- আইএসএস গবেষকরা উল্লেখিত দুই শহরের নিষ্কাশন নালার পানি পরীক্ষা করে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।
গবেষণায় গত ডিসেম্বরে মিলান ও তুরিনের নিষ্কাশন ব্যবস্থা থেকে সংগ্রহ করা পানির নমুনায় কোভিড-১৯ এর জিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। অন্যদিকে, দেশটির আরেক শহর বোলোগনার নালার পানিতে গত জানুয়ারিতে ভাইরাসের জিনটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
আইএসএস-এর গবেষকদের বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে গত শুক্রবার বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর প্রকাশ করে। সেখানে গবেষকরা জানিয়েছেন, ইতালিতে কী ভাবে করোনা সংক্রমণ শুরু হল, এই ফলাফল তা বুঝতে সাহায্য করবে। খবর আনন্দবাজারের।
ইতালীয় গবেষকরা মিলান ও তুরিন শহরদু'টির মোট ৪০টি জায়গা থেকে নালার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। গত বছরের অক্টোবর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে মিলান ও তুরিন শহর থেকে নালার পানির যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাতে ছিল নতুন করোনাভাইরাসের কিছু জিন। আর ২৯ জানুয়ারি বোলোগনা শহর থেকে যে নমুনা পেয়েছিলেন গবেষকরা, তাতেও সন্ধান পাওয়া যায় ভাইরাসটির কিছু জিনের।
এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, কোনও শহরে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে কি না বা তা কত দিনের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে, সেই শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা পরীক্ষা করেই তা আগেভাগে জানা যেতে পারে।
ইতালিই ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে শুরু হয়েছিল করোনা মহামারি। সরকারিভাবে প্রথম সংক্রমণের খবর ঘোষণা হয়েছিল ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের প্রথম দেশব্যাপী লকডাউনও ইতালিতেই কার্যকর করা হয়েছিল।