দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙেছে তালেবানরা, বললেন ইমরান খান
তালেবানদের প্রশংসা করে তালেবান কর্তৃক আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করাকে 'দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙা'র সঙ্গে তুলনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে এক বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
একই সাথে পাকিস্তানে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও সমালোচনা করেন ইমরান খান।
১৯৯৬ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর যে তিনটি দেশ তাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার একটি হলো পাকিস্তান।
এছাড়া পাকিস্তানের ইসলামপন্থী প্রধান রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলামী এবং জামিয়াত ই-উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই) পৃথকভাবে তালেবানের সাম্প্রতিক 'সাফল্যের' জন্য তাদের অভিনন্দন জানিয়েছে এবং আফগানিস্তানে তাদের আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তালেবানদের দখল উপলক্ষ্যে ধর্মীয় গোষ্ঠীদুটোর কিছু সদস্য মিষ্টি বিতরণও করেছে।
তালেবানরা পাকিস্তানের দুটি প্রধান সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে। এদের একটি তোরখাম ক্রসিং, তালেবান যোদ্ধাদের দ্বারা দখলের পর এর মাধ্যমে যাতায়াত ও বাণিজ্য বন্ধ ছিল।
পাকিস্তান বর্তমানে কোনো নতুন শরণার্থীকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না এবং আফগানদেরও কেবল এই সীমান্তগুলোর মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার কাবুলে তালেবান বাহিনীর প্রবেশের পর আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের পতন ঘটে এবং প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তান চলে যান। পরবর্তীতে, তিনি উজবেকিস্তানে গেছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার দিনভর বহু মরিয়া আফগানের দেশত্যাগের চেষ্টার কারণে কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। কাবুল বিমানবন্দরে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ আফগানিস্তানে তাদের মিশন বন্ধ ঘোষণা করে নাগরিক ও কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিচ্ছে। ষাটটিরও বেশি দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়ে তালেবানের কাছে আহবান জানিয়েছে, মানুষজনকে যেন বের হতে দেয়া হয়।
- সূত্র- বিবিসি