পেগাসাস ইস্যু: ভারতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের কাছে জানতে চাইবে সংসদীয় কমিটি
সম্প্রতি ১৬টি সংবাদমাধ্যমের এক সম্মিলিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, আমলা, অধিকারকর্মীদের ওপর নজরদারি চালিয়েছে সরকারগুলো। এই কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে।
ভারতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি মন্ত্রী, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বিরোধী নেতৃত্বের ফোন ট্যাপিং সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। একটি নির্দিষ্ট প্যানেল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এই ফোন হ্যাকিং সংক্রান্ত অভিযোগগুলো শুনবে। নাগরিকদের তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রামাণ্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
গত ১৮ই জুলাই টুইট করে প্যানেলের চেয়ারম্যান শশী থারুর জানান, "ভারত সরকার ইতিমধ্যেই অবৈধ নজরদারি বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে অন্য কোন সরকার (চীন বা পাকিস্তান) ভারতের নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাতে চেয়েছিল কিনা। কর্তৃপক্ষের কী এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত আহ্বান করা উচিৎ নয়?"
ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের তৈরি সফটওয়্যার পেগাসাস। ব্যবহৃত হয় ফোনে আড়ি পাতার কাজে। স্পাইওয়্যারটি খুব সহজেই আইওওস, অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপলের স্মার্টফোনে ঢুকে পড়তে পারে।
বর্তমানে আড়ি পাতার জন্য পেগাসাসই সবচেয়ে কার্যকর স্পাইওয়্যার হিসেবে বিবেচিত।
গণমাধ্যমের রিপোর্টে দেখা গেছে, ভারতের ৩৮ জন সাংবাদিকের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলের ফোনও হ্যাক করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা নারীদের ফোনও হ্যাক করা হয়েছিল। এছাড়া হিন্দুস্তান টাইমসের তিনজন স্টাফ, মিন্টের একজন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমসসহ মিডিয়া জগতের দিকপালদেরও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
- সূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস