প্রথমবারের মতো নারী নভোচারী প্রশিক্ষক নিয়োগ দিল সংযুক্ত আরব আমিরাত
নিজেদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও বৈচিত্র্যময় করতে ক্রমশ মহাকাশ বিষয়ক খাতে যুক্ত হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারই পথ ধরে এবার প্রথমবারের মতো নভোচারী প্রশিক্ষক হিসেবে একজন নারীকে নিযুক্ত করেছে উপসাগরীয় দেশটি।
২৭ বছর বয়সী আমিরাতি নাগরিক নোরা আল-মাতরুশি একজন মেকানিক্যাল গ্র্যাজুয়েট এবং বর্তমানে তিনি আবুধাবির জাতীয় পেট্রোলিয়াম কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কর্মরত। খুব শিগগিরই নোরা যুক্তরাষ্ট্রে নাসার ২০২১ ক্যান্ডিডেট ক্লাসে যোগদান করবেন।
নিজেদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করতে এবং তেলের ব্যবসার উপর নির্ভরশীলতা কমাতে সম্প্রতি স্পেস প্রোগ্রামের দিকে নজর দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরব বিশ্বের সর্বপ্রথম আন্তঃগ্রহ অভিযান হিসেবে গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে পৌঁছেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি পরীক্ষক দল। ২০২৪ সালের মধ্যেই দেশটি চাঁদে ভ্রমণকারী দল পাঠানোর লক্ষ্য স্থির করেছে। এমনকি তারা ২১১৭ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনাও করছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার সদস্যের এই নভোচারী কর্মসূচীতে মাতরুশি যোগ দিবেন আরেক আমিরাতি মোহাম্মদ আল-মোল্লার সঙ্গে। তাদের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন মহাকাশে পা রাখা প্রথম আমিরাতি ব্যক্তিত্ব হাজ্জা আল-মানসুরি।
আমিরাতের এই প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করা ৪৩০০ জনের মধ্যে শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, শারীরিক-মানসিক সব শক্তি বিবেচনায় নোরা সঠিক ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানায় দুবাইয়ের মোহাম্মদ বিন রশীদ স্পেস সেন্টার।
দেশীয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে একটি জাতীয় স্পেস প্রোগ্রাম শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার বেশিরভাগই বিদেশী শ্রমিক এবং মহাকাশ নিয়ে কাজ করা বড় বড় দেশগুলোর তুলনায় তারা অনেকটাই পিছিয়ে আছে।