প্রায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের সচল হলো ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম
সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম।
সোমবার রাত নয়টার দিকে বিশ্বজুড়ে বন্ধ হয়ে হোয়াটসঅ্যাপ। পাশাপাশি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও বার্তা আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশেও এই তিন অ্যাপ ব্যবহার করা যাচ্ছিল না।
অবশেষে ভোর সাড়ে চারটার দিকে সার্ভার সচল হওয়ার খবর নিশ্চিত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। পরে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে টুইট করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্ভার জটিলতায় এক টুইটবার্তায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ফেসবুক। টেক জায়ান্টটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার বলেছেন, ফেসবুকের শতভাগ পরিষেবা পেতে আরো কিছু সময় লাগতে পারে।
ফেসবুকের মালিকানাধীন এই অ্যাপগুলোতে একই পরিকাঠামো ব্যবহার করা হয়। সোমবার রাতে তিনটি অ্যাপে বিভ্রাট শুরু হতেই ফেসবুকে একটি বার্তা দেখা যায়। তাতে লেখা, 'দুঃখিত। কোথাও একটু সমস্যা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই ত্রুটি দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
Apologies to everyone who hasn't been able to use WhatsApp today. We're starting to slowly and carefully get WhatsApp working again.
— WhatsApp (@WhatsApp) October 4, 2021
Thank you so much for your patience. We will continue to keep you updated when we have more information to share.
অন্য দিকে, সেবায় বিঘ্ন ঘটায় দুঃখপ্রকাশ করে হোয়াটসঅ্যাপ টুইটারে লিখেছিল, 'এই মুহূর্তে কারও কারও হোয়াটসঅ্যাপে যে বিপত্তি দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত। তবে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। এ নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আপডেট দেওয়া হবে।'
সোমবার রাতে একের পর এক অ্যাপের পরিষেবা বন্ধ হতেই টুইটারে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন অগণিত ব্যবহারকারী। ওয়েব পরিষেবার গতিবিধি সম্পর্কিত খবরাখবর পরিবেশনকারী একটি ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টর ডট কম জানিয়েছিল, শুধুমাত্র তাদের পোর্টালেই ২০ হাজার ব্যবহারকারী ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম নিয়ে অভিযোগ করেন।
দীর্ঘ সময় ধরে ফেসবুকে এরকম বিভ্রাট দেখা যায়নি। এর আগে ২০১৯ সালে সার্ভার জটিলতার কারণে ফেসবুক ও এর অন্যান্য অ্যাপ বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৪ ঘন্টারও বেশি সময় বিকল ছিল।
সোমবার রাতের ঘটনার পর সমস্যার জন্য ফেসবুকের পক্ষ থেকে কোনো কারণ বলা হয়নি। তবে অনলাইন নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ফেসবুকের ডিএনএস বা ডোমেইন পদ্ধতির ত্রুটির জন্য এই ঘটনা ঘটতে পারে।