বাংলাদেশের মাধ্যমে চীনে চুল পাচার করছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
হায়দ্রাবাদ/দিল্লি- বাংলাদেশ- চীন, চুল চোরাকারবারিদের নতুন রুট এটাই। 'বর্জ্য' হিসেবে ফেলে দেয়া কোটি কোটি টাকার চুল এ পথেই চীনে যাচ্ছে।
ভারতীয় রপ্তানিকারকরা জানান, এখনও ১২০ কোটি রূপি সমমূল্যের (টাকায় ১৪০ কোটি) মানব চুল পাচারের জন্য গুদামে পড়ে আছে।
দিল্লি কাস্টমসের কর্মকর্তাদের নজরে এসেছে এ বিষয়। কর্মকর্তাদের দাবি, চোরাচালানকারীরা এ-গ্রেডের মানব চুল আবর্জনা বা 'তুলা' হিসাবে রপ্তানি করছে। এর আগে পাচারকারীরা মিয়ানমারকে চীনে মানব চুল পাচারের পথ হিসাবে ব্যবহার করত।
গত এপ্রিলে ৭০ কেজির এবং ৭১,৪০০ ডলারের একটি চালান দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পৌঁছে। ২০ কেজির আরেকটি চালান ছিল সাড়ে ৯ হাজার ডলার মূল্যের। কেজিতে ৬০ ডলারপ্রতি একটি ৪.৩ লাখ ডলারের চালান পাঠানো হয়। একই মাসে, হায়দ্রাবাদ থেকে কেজিপ্রতি ২০ ডলারের একটি ৫৮, ৫০০ ডলারের চুলের চালান পরিবহন করা হয়।
একজন কাস্টমস কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "তারা (পাচারকারীরা) মিয়ানমারের মাধ্যমে চোরাচালান বন্ধ করে নি, তবে একই সাথে বাংলাদেশ রুটে চোরাচালান শুরু করেছে। এসব পরিবহন মিয়ানমারে যাবার কথা থাকলেও দেখা যাচ্ছে প্রথমে সিঙ্গাপুর এবং পরে চীনে রপ্তানি হচ্ছে"।
হিউম্যান হেয়ার অ্যান্ড হেয়ার প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি বেনজামিন চেরিয়ান বলেছেন, "আমরা সম্প্রতি দিল্লিতে শুল্ক কর্মকর্তাদের জব্দ করা সামগ্রীর মূল্যায়ন করেছি এবং দেখেছি যে এই চুলের দাম কেজিতে সাড়ে পাঁচ হাজার রূপি।
আমাদের সদস্য চুলগুলো পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, পণ্যটি হেয়ারবল যা স্থানীয়ভাবে 'গুঠা', 'গোলি' বা 'ছুট্টি' নামে পরিচিত এবং এর মান অত্যন্ত ভাল। এটি এইচএসএন কোড: ০৫০১ এর আওতায় পড়ে এবং আটককৃত পণ্যের রপ্তানিকারক দাবি করেন যে, এটি মানুষের চুলের বর্জ্য"।
ইতোমধ্যে, কলকাতার শুল্ক কর্মকর্তারা দিল্লি এবং হায়দ্রাবাদের পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
- সূত্র- টাইমস অফ ইন্ডিয়া