বাবা হতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস
তৃতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত শনিবার বান্ধবী ক্যারি সায়মন্ডস এর সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন বলে জানান বরিস। একইসঙ্গে ক্যারির গর্ভে তার সন্তান আসার সুসংবাদও দিয়েছেন।
ব্রিটিশ গণতন্ত্রের আড়াইশ বছরের ইতিহাসে বরিসই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বপালনকালে বান্ধবীকে বিয়ে করবেন।
গত জুলাই থেকেই ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে জনসনের সঙ্গে বসবাস করছেন ৩১ বছরের তরুণী ক্যারি সায়মন্ডস। পূর্বের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীদের তুলনায় বান্ধবীর সঙ্গে উন্মুক্ত মেলামেশার মধ্য দিয়েও নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন ৫৫ বছরের জনসন ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় বান্ধবী ক্যারির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থেরেসা মে'র সমালোচনায় পড়েছিলেন বরিস।
তবে আর যুগল নয়, এবার তারা দম্পত্তি হচ্ছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী এবং মিস সিমন্ডস খুবই আনন্দের সঙ্গে তাদের বাগদানের কথা প্রকাশ করছেন। আর আগামী গ্রীষ্মের আগেই তাদের কোলজুড়ে আসতে পারে ফুটফুটে এক শিশু।
একইদিন দেওয়া এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ক্যারি সিমন্ডস গর্ভধারণের বিষয়টি এতদিন গোপন রাখার কথা স্বীকার করেন। এখন এই কথা জানানোর কারণ হিসেবে বলেন, আমি এখানে এমন ব্যক্তিগত তথ্য দিতে অভ্যস্ত নই, তবে বন্ধুরা যাতে আমার কাছ থেকেই প্রকৃত সত্য জানতে পারেন, সেজন্যই বলছি।
"আপনারা অনেকেই জানেন, কিন্তু আমার অনেক বন্ধু কিন্তু জানেন না। তাদেরকেই বলছি, আমরা গত বছরের শেষদিকে আঙটি বদল করেছি। আর আগামী গ্রীষ্মের আগেই ফুটফুটে একটি শিশু জন্ম দেওয়ার আশা করছি। নিজেকে আমার খুব সৌভাগ্যবতী বলে মনে হচ্ছে" বলেও জানান তিনি।
আগের দুটি বিয়ে ভেঙ্গে গেলেও সেই সূত্রে বরিস জনসন চার সন্তানের জনক। এরা হলেন; লারা লেটিস, থিওডর অ্যাপোলো, ক্যাসিয়া পিচেস এবং মিলো আর্থার জনসন।
প্রথম স্ত্রী আলেগ্রা মস্টিন ওয়েন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই সহপাঠীর বিয়ে টিকেছিল ৬ বছর। দ্বিতীয় স্ত্রী মারিনা হুইলার একজন আইনজীবী, লেখক এবং কলামিস্ট। তার বাবা ছিলেন বিবিসির বিখ্যাত সাংবাদিক স্যার চার্লস হুইলার।