বায়ুবাহিত করোনাভাইরাসও সংক্রামক হতে পারে
আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে যে ড্রপলেট ছড়ায় তাতে করোনার জীবাণু থাকার কথা বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন থেকে জেনে আসলেও এই ক্ষুদ্রকণাগুলো যে বায়ুবাহিত হয়ে অন্যদেরও আক্রান্ত করে তা উঠে এসেছে নতুন একটি গবেষণায়।
যুক্তরাজ্যের নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শুধুমাত্র হাঁচি বা কাশির মাধ্যমেই না, বরং কথা বলার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস এবং বায়ুবাহিত এই ভাইরাস 'সামাজিক দূরত্ব' হিসেবে বিবেচিত ৬ ফুটেরও বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এই গবেষণা প্রতিবেদনটি মেডিকেল উদ্ভাবন সংক্রান্ত ওয়েবসাইট medrxiv.org এ প্রকাশ করা হলেও এখনো কোনো পিয়ার-রিভিউ জার্নালে প্রকাশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে নেব্রাস্কা ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক জসুয়া সান্তারপিয়া বলেন, এ গবেষণার জন্য নমুনা সংগ্রহ করার বিষয়টি খুবই কষ্টসাধ্য ছিল।
তিনি বলেন, এ উদ্দেশে তাদের দলটি সেলফোন আকারের জন্য একটি ডিভাইস ব্যবহার করেছিল, কিন্তু ড্রপলেটের ঘনত্ব খুবই কম হওয়ায় সেখান থেকে নমুনা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ছিল।
বিজ্ঞানীরা শয্যাশায়ী রোগীদের পাঁচটি কক্ষ থেকে তাদের শয্যার পাদদেশের প্রায় এক ফুট উচ্চতায় বাতাসের নমুনা নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, রোগীরা কথা বলছিলেন, যার ফলে ছোট ছোট ড্রপলেট বের হচ্ছিল যা কয়েক ঘন্টার জন্য বাতাসে থেকে যায় অনেকটা অ্যারোসল এর মতো।
গবেষণাদলটি তখন এক মাইক্রন ব্যাসের মতো মাইক্রোড্রপলেট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর তারা এই নমুনাগুলিটিকে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে এবং দেখতে পায় পরীক্ষা করা ১৮ টি নমুনার মধ্যে তিনটি নিজেদের রেপ্লিকা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিজ্ঞানী সান্তারপিয়া জানান, মুখ নিঃসৃত বড় ড্রপলেটের চেয়ে যে মাইক্রোড্রপলেটগুলো বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারে সেগুলোও মানুষকে সংক্রমিত করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, "সেল কালচলারে এটিকে রেপ্লিকেট করে যার ফলে বোঝা যায় এটি সংক্রামক।"