ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা প্রায় নিশ্চিত, নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসছে যার বিরুদ্ধে বর্তমান টিকা কাজ করবে না
যুক্তরাজ্য সরকারের সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সিসের (এসএজিই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষকদের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, তারা "প্রায় নিশ্চিত" সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে যেই ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে উৎপাদিত ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।
তবে, সরকারিভাবে প্রকাশিত গত শুক্রবারের এই প্রতিবেদনটি এখন পর্যন্ত পিয়ার রিভিউড নয়, গবেষণাটি এখনো তাত্ত্বিক পর্যায়ে রয়েছে, এখন পর্যন্ত এমন কোনো ভ্যারিয়েন্টের প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এধরনের প্রতিবেদন মূলত জরুরি ভিত্তিতে সরকার ব্যবহার করে থাকে।
যেহেতু সম্পূর্ণভাবে ভাইরাসের নির্মূল কখনোই সম্ভব নয়, সেহেতু নতুন ভ্যারিয়েন্ট পর্যায়ক্রমে আসতে থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষকেরা এই ভাইরাসের এধরনের নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তারা বলেছেন, "ধীরে ধীরে বা একটি নির্দিষ্ট সময় পর করোনাভাইরাসের এন্টিজেনিক ভ্যারিয়েশন আসবে এবং তা বর্তমানে কার্যত কোনো ভ্যাকসিন দিয়েই তা প্রতিহত করা সম্ভব হবে না।"
এমতাবস্থায়,দ ভ্যাকসিন প্রতিরোধী নতুন স্ট্রেইনের উদ্ভব ঠেকাতে সংক্রমণ যথাসম্ভব কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। এছাড়াও নতুন ভ্যাকসিনের গবেষণাতে অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তির হার কমানোর পাশাপাশি শ্লেষ্মার সাহায্যে ঘটা সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা নিয়েও কাজ করা উচিত বলে তারা মনে করেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা আছে, ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে "সংক্রমণ এবং ছড়িয়ে পড়া রোধ করা" এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা তারা যাতে সংক্রমিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গত কয়েক মাসে আসা ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানের ভ্যাকসিনের সাহায্যে খুব কমই প্রতিহত হওয়ার মত। তাছাড়াও কোনো ভ্যাকসিন দিয়েই শতভাগ রোগ-নির্মূল সম্ভব নয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বে যত ভ্যারিয়েন্ট বিদ্যমান তার সবই ভ্যাকসিন ব্যাপ্পকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর এসেছে। এ বিষয়ে গবেষকেরা সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেন যে, "ভ্যাকসিন যত বেশি সহজলভ্য হবে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার সম্ভাবনা ততই বাড়বে।"
এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই এসএজিই সতর্কবার্তা দিয়ে আসছিল। মূলত গত জুলাই এর পর্যালোচনায় এসকল তথ্য উঠে আসে। এ ধরনের ভ্যারিয়েন্ট আসার সম্ভাবনা ঠিক কতখানি রয়েছে তা এখনও বিজ্ঞানীদের অজানা। তবে, এটি যুক্তরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি স্বরূপ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
- সূত্র: সিএনএন